রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

রওশন জাপাকে হেয় করেছেন: এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি ‘একক সম্পত্তি বা কোম্পানি নয়’ বলে দলকে হেয় করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এরশাদ এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, গতকাল (রবিবার) রওশন এরশাদের বক্তব্য আমার নজরে এসেছে। এমন বক্তব্যের কারণে পার্টির নেতাকর্মী ও দেশবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তার অবসানের জন্যই আমি এ বক্তব্য তুলে ধরছি। নিচে পাঠকদের সামনে এরশাদের পুরো বিবৃতি হুবহু তুলে ধরা হলো-

প্রথমেই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতাকে মনে রাখতে হবে যে, সংসদীয় দল পার্টির একটি শাখা মাত্র। এই শাখার দায়িত্ব-পার্টির নীতিমালা অনুসারে শুধু সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। নীতি নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনার ফোরাম হচ্ছে পার্টির প্রেসিডিয়াম। সুতরাং রওশন এরশাদ সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য রেখেছেন- এই ফোরামে এটা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। তিনি পার্টিকে কারো ‘একক সম্পতি বা কোনো কোম্পানি নয়’- বলে সংগঠনকে হেয় করেছেন। জাতীয় পার্টি একটি গঠনতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এই গঠনতন্ত্র কোনো বিশেষ ব্যাক্তির আরোপিত বিষয় নয়। এটি জাতীয় পার্টির গণতন্ত্রের দলিল- যা পার্টির প্রতিষ্ঠাকালে জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই গঠনতন্ত্রের একটি শব্দও পরিবর্তন করতে হলে জাতীয় কাউন্সিল থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এটাই হচ্ছে দলীয় গণতন্ত্রের ধারা।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমার সৃষ্টি করা নয়। এটা জাতীয় কাউন্সিলে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি ধারা। এই ধারা সম্পর্কে পার্টির কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা শুধুমাত্র জাতীয় কাউন্সিলে উত্থাপন করা যেতে পারে। কাউন্সিল ভোটের মাধ্যমে এই ধারা বাতিল বা বহাল রাখার রায় দিতে পারে। তার আগে, যা গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- সেটাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ ধারা বলাটাই দলীয় গণতন্ত্রকে অবমাননা করা। এই ধারাবলে রওশন এরশাদকেও দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই ধারা বলে যারা ১৫/১৬ বছর দলের বাইরে ছিলেন তাদেরও দলে ফিরিয়ে এনে প্রেসিডিয়াম পদ দেয়া হয়েছে। পার্টির বর্তমান প্রেসিডিয়ামের অন্তত ৩৫ জন সদস্যই ৩৯ ধারা বলে প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ৩৯ ধারা যখন কারো পক্ষে যায়- তখন এটা অত্যন্ত, গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী ধারা হয়ে যায়, আর যখন ব্যক্তিস্বার্থের বিপক্ষে যায় তখন এটা ‘অগণতান্ত্রিক’ হয়ে পড়ে- এই মানসিকতা থাকা উচিত নয়। দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা তা গ্রহণ করবে না।

জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা একক কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। নির্বাচন কমিশন থেকে দুই বার সময় নেবার পর এবং তারপর সকলের মতামতের ভিত্তিতে দুইবার তারিখ পরিবর্তনের পর প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভেন্যু ভাড়া করা হয়েছে, প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে, ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনসমূহে পত্র দিয়ে দাওয়াতও দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নাই।

এটা ঠিক যে, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো ফল করতে পারেনি। তার পেছনে অন্যসব কারণের পাশাপাশি গত দুই বছরে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার দুর্বলতাও দায়ী ছিল। রওশন এরশাদ বিভিন্ন দলে চলে যাওয়া কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, “পার্টির ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হারিয়েছি”। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, যে নেতারা দল ছেড়ে চলে গেছেন, তারা প্রত্যেকেই বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো দল থেকে জাতীয় পার্টিতে এসেছিলেন। ওইসব দলের ভুলের কারণেই কি তারা দল ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে এসেছিলেন? জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল এবং তারা যখন উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, বা মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন তখন মনে হয় দলের কোনো ভুল ছিল না। যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখনই যেন পার্টির ভুল হয়ে গেল! আর তারা সুবিধার লোভে অন্য দলে চলে গেলেন। এইসব সুবিধাভোগী নেতাদের জাতীয় পার্টির নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা কীভাবে গ্রহণ করবেন? রওশন এরশাদ কোন গণতন্ত্র অনুসারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানালেন তা স্পষ্ট করে বলুন? দল ভাগ করা কিংবা উপদল সৃষ্টি করা কি দলীয় গণতন্ত্রের আওতায় পড়ে? তাঁকে বলতে হবে এ পর্যন্ত কোনটা দলীয় গঠনতন্ত্রের বাইরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে?

পরিশেষে, আমি সকল ধরনের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবসান ঘটিয়ে সকলের অবগতির জন্য সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, জাতীয় পার্টি সম্পূর্ণভাবে একটি গণতন্ত্র চর্চার রাজনৈতিক দল। এই দলে গঠনতন্ত্রের বাইরে কখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি- আর হবেও না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলাসমূহের সম্মেলন সমাপ্ত করে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ মে ২০১৬ শনিবার, রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। নির্দিষ্ট তারিখে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু

দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন

১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব

১৭ বছর পর খুলে দেওয়া হলো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ওবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস