রমজানকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে যেসব ‘জিনিসের’
রমজান উপলক্ষে কাঁচাবাজারে মূল্য বৃদ্ধির যেন হিড়িক পড়েছে। গুটি কয়েক ছাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল শাক সবজিতেই ২০ থেকে ২৫ টাকা হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনীয় কিছু সবজির আবার দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ‘বেগুন, টমেটো ও শষার বাজার যেন আগুন’।
প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। টমেটো ২৫ টাকা থেকে হয়েছে ৪৫ টাকা। শষা ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি।
বিক্রেতাদের দাবি চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় এ দাম বৃদ্ধি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অতিরিক্ত মোনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে কৃত্তিম সংকটের মাধ্যমে এ দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর অন্যতম পাইকারি আড়ত কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। অপরদিকে টমেটো ও শষা বিক্রি হচ্ছে পাল্লা প্রতি যথাক্রমে ১৫০ ও ২০০ টাকা। যেখানে সপ্তাহ খানেক আগেই ছিল উল্টো চিত্র। পাইকারি দামের মধ্যেও ছিল যথেষ্ট সমন্বয়। কিন্তু রোজা শুরুর পর পরই দাম হয়ে যায় আকাশ ছোয়া। এ বাজারের এক আড়ৎদার রিপন মিয়া জানান, রোজার সময় কিছু কিছু পন্যের স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি চাহিদা থাকার কারণে দাম বেড়ে যায়। এছাড়া অন্যান্য সবজি ও তরকারির দাম কম আছে বলেও জানান রিপন। সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ী বলেন “সিন্ডিকেটের টাইম কই কন? মাল ডেলিবারি দিয়াই তো কোল পাই না! রোজার সময় এরকম হই”
রাজধানীর বেশ কয়েকটি খোলা বাজার ঘুরে দাম বৃদ্ধির এই চিত্রের ব্যত্তয় দেখা যায়নি। সেখানে কেজি প্রতি টুমেটো ৪৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, শষা ৫০ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, আলু ৩০, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লতি সিম ৫৫ টাকা কেজি ও হালি প্রতি লেবু ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি তুলনায় যায় প্রতিটি পন্যেই ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। সব মিলিয়ে গড় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানকে পুঁজি করেই ব্যবসায়ীদের এই দাম বৃদ্ধির পায়তাঁরা। এখানে এসব খোঁড়া অজুহাত তাঁদের নিজস্ব সৃষ্টি। সরকারের পক্ষ থেকে যথার্থ মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) থাকলে এমটা হতো না বলেও দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা (হাবিবুর রহমান)’র সাথে কথা হয় ‘। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “প্রতি বছর এই সময়টাতেই আমাদের সাধারণ মানুষকেই জিম্মি হতে হয় এসব ব্যবসায়ীদের কাছে। মনগড়া মতে তাঁরা দাম বৃদ্ধি করে। আর এর কঠোর পরিস্থিতি ভোগ করতে হয় আমাদের মত সাধারণ মানুষকে”।
কাঁচাবাজারের এই দাম বৃদ্ধির দোলাচল থেকে মুক্তি চান সাধারণ মানুষ। সে জন্যে সরকারকেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি আসে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। এই অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের গলার কাটা হয়ে দেখা দিয়েছে এখন। এমনটাই মত বাজার বিশ্লেষকদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন