রমজানে বাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে: ক্যাব

এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বদনাম এড়াতে কৌশলে রমজানের আগেই বেশ কিছু নিত্য প্রয়াজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এখনই কার্যকর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লাগাম টেনে না ধরলে রমজানে বাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্প্রসারিত মিলনায়তনে মঙ্গলবার ‘পণ্য ও সেবার মূল্য স্থিতিশীল এবং নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির জন্য ক্যাব-এর পরামর্শ’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।
ক্যাব এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
গোলাম রহমান বলেন, রমজানে পণ্য-দ্রব্যের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠে। তাই এই বদনাম এড়াতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চালাকি করে রমজান আসার এক-দুই মাস আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, রমজান ও বাজেটকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ইতোমধ্যে বাজারে প্যাকেটজাত লবনের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা, রসুন কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিনি কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বাড়িয়েছে। হাঠাৎ এভাবে দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে দেশে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মজুদ, উৎপাদন ও আমদানি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
ক্যাব সভাপতি বলেন, ১৯৯০ এর দশক থেকে এ দেশে জোরেশোরে মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা হচ্ছে। এখন গুটিকয়েক ব্যবসায়ী প্রতিটি ভোগ্যপণের আমদানি ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া গড়ে উঠেছে পণ্যভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিযোগিতা হ্রাস ও আইনি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বাজার বিভাজনের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সময় ও সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়িয়ে আসছে। এ প্রবণতা রোধে সুষ্ঠু তদন্ত করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় শাস্তি দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজান শুরুর আগেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) কাজ শুরু করতে হবে। এসময়ে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য যাতে বাজার সয়লাব হতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
বাজেটে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বিক্রয়মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবে তীব্র সমালোচনা করে গোলাম রহমান বলেন, এ প্রস্তাব কোনো অবস্থাতেই বাস্তবসম্মত নয়। এতে জিনিসের দামের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে। ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ বাড়বে। এতে অসৎ ব্যবসায়ীরা লাভবান ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ প্রস্তাব সরকারের জনকল্যাণমুখী নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমায় দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ ভাগ কমেছে। কিন্তু এর কোনো সুফল জনগণ পায়নি। জ্বালানী তেলের দাম কমানোতে উচ্চবিত্তের লোকেদের লাভ হলেও সাধারণ জনগণের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন