দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা বিএনপি। পবিত্র রমজান মাসে জঙ্গি গ্রেপ্তারের নামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানি, বন্দুকযুদ্ধের কথা বলে সাধারণ মানুষকে ‘খুন’ করার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

আজ শুক্রবার খুলনার বিএনপি নেতারা এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মুশারফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, আবদুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সিরাজুল হক নান্নু, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু প্রমুখ।

খুলনা মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান শাহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই বিবৃতির বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, সারা দেশে গুপ্তহত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ফলে সৃষ্ট আতঙ্কজনক পরিস্থিতি ও নিরীহ জনগণের প্রাণহানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ফ্যাসিবাদী শাসন অবসানের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণকে জিম্মি করে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা নিজেরা মানুষ হত্যা করছে, আর দোষ দিচ্ছে বিএনপিসহ অন্য দলের ওপর। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিএনপির নেতারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। পবিত্র রমজান মাসেও একের পর এক খুন হচ্ছে। মসজিদের ইমামরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে নামাজ পড়াতে মসজিদে যেতে ভয় পাচ্ছেন। একই অবস্থা শিক্ষক-ছাত্রদের বেলায়ও। ‘জঙ্গি’ দমনের নামে সপ্তাহব্যাপী সরকার বিরোধী দলমত দমন করে দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পবিত্র রমজান মাসে ‘জঙ্গি’ নামে গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজনকে বন্দুকযুদ্ধের আড়ালে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে যা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তারের জন্য অর্থ-বাণিজ্যে দিশেহারা সাধারণ জনগণ।