বলছি কোন প্রকারের নগ্নতা প্রচার আমাদের উদ্দেশ্য নয়,পাঠকের নিরাবিল আনন্দ দেওয়ায় আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

আমাদের কাছে এবারের লেখাটি পাঠিয়েছেন সজিব (ছদ্মনাম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, আর এই লেখার উপকরণ যে সব ব্যক্তিদের ঘিরে আমরা তাদেরও ছদ্মনাম ব্যাবহার করবো, কারণ বিষয়টি হাস্যজ্জ্বল হলেও এখানে কয়েকজনের সম্মানের বিষয় জড়িত।

যাহোক এবারে মুল আলোচনায় আসা যাক, নাইম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইনাল ইয়ারে পড়ছেন, এই ছেলেকে ডিপার্টমেন্টের সবাই প্রেমিক হিসেবে জানে। কতগুলো মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তার পরিসংখ্যান নাইম বলতে পারবেন। কথায় বলে না ভদ্র ছেলেদের কপালে প্রেম হয় না আর সুন্দরী মেয়েদের মন ভালো ছেলেরা পাই না, সেটার বাস্তব প্রমাণ মিললো এই প্রেমিক পুরুষ নাইম কে দিয়ে।

নাইমের নিজের বিভাগের তিনজন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের কিন্তু কোন মেয়েই অন্য মেয়েদের কথা জানতেন না। আর জানলেও কেও নাইমকে অবিশ্বাস করতেন না। ঘটনার সুত্রপাত সোমবার সকালে, ক্যাম্পসের অদুরেই রমনাতে বসে আছেন নাইম তার এক প্রেমিকাকে নিয়ে, কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ঠিক সেই মুহুর্তে বারবার ফোন আসে অন্য এক মেয়ের। কল কেটে দেওয়া সত্বেও কয়েকবার কল আসে একপর্যায়ে নাইম ফোন রিসিভ করে। পাশে থাকা প্রেমিক লাউড স্পিকার দিতে বলে কিন্তু নাইমের পাশ কাঠিয়ে যাবকার চ্রেষ্টা করে। পাশে থাকা প্রেমিকার বুজতে বাকি থাকে না মেয়েটি তার বান্ধবী। পরক্ষণেই নাইমের থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে চেক করা হয়, দেখা যায় তার কললিস্ট এবং ফেসবুক চ্যাট, ভাইবারে অন্য পাচজন মেয়ের সাথে প্রেমালাপন। দুইজন তার ক্লাসমেট এবং অন্য দুই মেয়ে একই বিভাগের জুনিয়র।

শুরু হয়ে যায় তুমুল কান্ড কে শোনে কার কথা! নাইমের ফোন থেকে কল দিয়ে হাজির করা হয় অন্য মেয়েদের ও, বের হয়ে আসে নাইমের ভদ্র বেশী মুখোশ ভাল ছাত্র। এবং স্মার্ট হবার সুবাদে একেরপর এক মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয় প্রেম করে সব সময় তাদের থেকে না কিছু উপহার ও নিয়েছেন। এক প্রেমিকা তো রিতিমত বলেই ফেললেন তিন মাসের সম্পর্কে আমি তো পচিঁশ হাজার টাকা খরচ করেছি। আরেকজন বললেন আরে আমিতো এক বছরে কেএফসির বিল দিয়েছি পঞ্চাশের উপরে। অন্য এক প্রেমিকা বলেই দিলেন এই যে শার্ট গায়ে দিয়ে আছে এটা আমারই দেওয়া। ঝগড়ার একপর্যায়ে ক্যাম্পাস থেকে অন্য বন্ধুরা ও চলে আসে। কেও কেও বিষয়টি নিয়ে মজা পেলেও অনেকে এমন ধরণের একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা কে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। এক প্রেমিকা পিছন থেকে রিতিমত চড় থাপ্পড় শুরু করে দেই।

অবস্থার বেগতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাই প্রেমিক পুরুষ। ঘটনাসমূহ সাথে সাথে ক্যাম্পাসে রটে যায়, দিনভর এই আলোচনা চলে থাকে অনেকেরই মুখে। অনেকে ফেসবুকে স্টাট্যাস দেয় পাচজন প্রেমিকার হাতে মার খেলেন এক প্রেমিক। অনেকে আবার লিখেছেন এমন একটি ভন্ড প্রেমিককে ধোলাই দেবার জন্য মেয়েগুলো কে ধন্যবাদ। অনেকে মন্তব্য করেছেন ছিঃছিঃ এই মুখ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবে কি করে? নাইম তোর তো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, এখন নাকে শরিসার তেল দিয়ে ঘুমা!