রহস্যের মুখোমুখি, চল্লিশের যত না বলা কথা
বিশেষজ্ঞদের মতে, চল্লিশে পা দিয়ে মানুষ জীবনের বিশেষ এক স্তরে পা রাখে। মধ্যবয়সে উপনীত হয়ে জীবনের বহু রহস্যের মুখোমুখি হয় মানুষ। এ সময়ের পর জীবনের নানা চিন্তা-ভাবনা ও অনুভূতি পরিপক্কতা লাভ করে। মানুষ হয়ে ওঠে ধীর-স্থির। জেনে নিন, এ বয়সের ১৪টি গোপন কথা যা চল্লিশোর্ধরা কখনোই বলতে চান না।
১. সমাজের সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে যুক্ত হন তারা। আগে হয়তো বহু কাজে মানুষের সঙ্গে একাট্টা হতেন। কিন্তু চল্লিশের পর এ তালিকা অনেক কমে আসে। এখন যেখানে সেখানে যেতে মন চায় না। আবার মন চাইলে যেকোনো কিছু করতে আর ভয় লাগে না।
২. কিছুটা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে থাকবে। বহুক্ষণ বসে থাকলে হয়তো পা দুটো অবশ হয়ে আসবে। হাতের কব্জিতে অনুভূত হতে পারে জড়তা।
৩. আগের মতো আর অসংখ্য বন্ধুর দরকার হয় না। তবে হাতে গোনা যারাই থাকেন, তারা হন সত্যিকার বন্ধু। গুটিকয়েক, কিন্তু আরো বেশি কাছের বন্ধুরাই চল্লিশের সর্বোত্তম সঙ্গী হয়ে ওঠেন।
৪. ছুটি কাটাতে আগে যেকোনো স্থানে যেতে মনটা আনচান করে উঠতো। কিন্তু মানসিকতা ও রুচি বদলেছে। চল্লিশে পার দিয়ে এমন কোনো স্থানে যেতে মন চায় না, যা কিনা বাসস্থানের চেয়ে উন্নততর নয়। এর চেয়ে বরং ঘরটাই অনেক ভালো।
৫. শৈশব, কৈশোর এবং কিংবা তিরিশের কোঠায় অনেক বিষয়ের সূক্ষ্ম তারতম্য হয়তো স্পষ্ট ছিলো না। কিন্তু চল্লিশে এসে যাবতীয় বিষয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম তারতম্য পরিষ্কার ঠেকে। আবার এখন মত প্রকাশে খুব সহজেই ‘আমি বিষয়টা জানি না’ কিংবা ‘জানতাম না এটা এতো সহজ’ ইত্যাদি কথা বলা যায়।
৬. এ সময় অদ্ভুত কিছু প্রেম আসে জীবনে। অযৌক্তিক এবং অকারণে প্রেম পড়া সাধারণ ঘটনা।
৭. এ সময় সমাজের বিভিন্ন স্তরে ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিত্ব নজরে পড়ে। মনে হয়, তারা কতোই না সুখী ও সফল। মনে হয়, সন্তানটা যদি এমনই কেউ হতে পারে তবেই যত সুখ।
৮. মৃত্যু এ বয়সে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে না। একে অবশ্যম্ভাবি বলে সহজে মেনে নেওয়া যায়। একে ইতিবাচকভাব গ্রহন করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
৯. জীবনের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা বা মূল্যবোধ তৈরি হয়। যার যার কাছে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পায় অথবা হারায়। কোন বিষয়টা কতটা জরুরি তা স্পষ্ট হয়।
১০. কম বয়সে চেহারা-পোশাকে প্রতি যে ভালোবাসা কাজ করতো, তা কিন্তু চল্লিশে পা দিয়ে নষ্ট হয়ে যায় না। তবে এখন ব্যক্তিত্বের প্রকাশ মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠে মন। সেই সঙ্গে রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদ পছন্দসই হয়ে ওঠে।
১১. ভুলগুলো মেনে নিতে চায় মন। নিজের ভুল সহজে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর ভুলের কারণে দুঃখ প্রকাশ করা ভব্যতার প্রকাশ বলে উপলব্ধি হয়।
১২. চল্লিশেও আবেগ যথেষ্ট কাঁদায়। কষ্টের গান ও সুরে এখনো মনটা ডুকরে উঠতে পারে। অন্যের কষ্টে সমবেদনা জানাতে চোখে পানি আসে।
১৩. ফ্যাশনেবল মানুষরাও চল্লিশে পৌঁছে একে জটিল বলে গণ্য করেন। সাধারণ ও আরামদায়ক পোশাকই সেরা বলে মনে হয়। তবে বিশেষ উপলক্ষে কিছুটা ফ্যাশন তো চলেই।
১৪. আগের মতো রাত জেগে উল্লাসে মেতে উঠতে চায় না মন। অ্যালকোহলে বুঁদ হয়ে থাকাও আর ভালো লাগে না। তাই অনেকটা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
সূত্র : টেলিগ্রাফ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন