সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

রাজনীতি বনাম ইতিহাসের সত্য: ঠিক কখন থেকে গরু খাওয়া বন্ধ করে হিন্দুরা?

এক সময় হিন্দু ধর্মালম্বীরাই গরু জবাই করতেন (বলি দিতেন) এবং তার মাংস খেতেন। কিন্তু উপমহাদেশীয় প্রেক্ষাপটে গরু আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে রাজনীতির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। ঐতিহাসিকতার বিচারে ব্রাক্ষণদের ফতোয়ার ধারাবাহিকতায় আজকের গরু জবাই নিষিদ্ধের দাবি। দাবিটি আদতে ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক।

গরু নিষিদ্ধের এই রাজনৈতিকতাকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিচার করতে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে মতামতভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলিও। ভারতীয় উপমহাদের ইতিহাসের উপর বই লেখার জন্য বিখ্যাত ইতিহাসবিদ দ্বিজেন্দ্র নারায়ন ঝাঁ ডি. এন. ঝাঁ এর সাথে ডেইলি ও এর প্রতিবেদক উর্সিলা আলীর কথোপকথপনের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে ওই নিবন্ধ।

প্রকাশিত নিবন্ধটিতে ইতিহাসকে সাক্ষী মেনে ডি. এন. ঝাঁ বলছেন, বৈদিক আর্যরা গরু বলি দিতেন এবং তার মাংস খেতেন। গরু বলি দেয়ার এরকম অনেক উদাহরণ আছে বেদেও যেখানেও গরু জাবাই ও তার মাংস খাওয়ার কথা রয়েছে।

এই চর্চাটি আর্যদের পরবর্তীদের সময় থেকে শুরু হয়ে মৌর্য শাসনের পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে। ইতিহাসে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অনুযায়ী মৌর্য সময়কালে কমতে থাকে গুরু করে জবাইয়ের পরিমাণ।

ব্রাক্ষণরা, যারা কিনা গরু জবাইয়ের মূলে ছিলেন তারাই এখন গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত করছেন এবং এর জবাইকে অননুমোদিত করছেন। অননুমোদনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় কলি কালের ধারণা জন্মানোর সঙ্গে যে ধারণা প্রথমে মহাভারতে দেয়া হয় মৌর্য শাসনের পরবর্তী সময় থেকে গুপ্ত শাসনামলের সময়ে।

ডি. এন. ঝাঁ বলেছেন, ধর্মীয় ফতোয়া দেয়া ব্রাক্ষণরা এখন যুক্তি দেখানোর শুরু করেছেন যে কলি কালে পুরোনে কিছু চর্চা বাদ দিতে হবে যার মধ্যে গরু জবাই অন্যতম। তবে তাদের এ নিরুৎসাহিত করার সাথে ধর্মশাস্ত্রের নির্দেশ(গরু জবাইকারীকে ছোয়া যাবে না) কোন মিল নেই।

গরু জবাই বন্ধ করা হয় এবং গরুর মাংস খাওয়াকে ক্রমে ক্রমে ব্রাক্ষণদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এখন এই খাবারটি এমন বর্ণের খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের ছোঁয়া যাবে না।

মধ্যযুগে ইসলামী জাগরণের সময় ব্রাক্ষণদের এ নির্দেশের সাথে মুসলমানদের মধ্যে একটি ধর্মীয় অমিল দেখা যায় এবং ১৭ থেকে ১৮ শতকে এ বিষয় নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধেরও প্রমাণাদি রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

মারাঠি শাসনামল এবং শিবাজির সময়ে তা আরো প্রবল হয়। গরু এবং ব্রাক্ষণদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিত শিবাজি। তার সময়েই হিন্দু ধর্মের সাথে গরুর সম্পর্কের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে।

পাঞ্জাবে গরু জবাইকে বৈধতা দেয়ার কারণে ১৯ শতকে হিন্দু এবং শিখদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে একত্রিত করে গরুর ইস্যু। তবে ১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী গরু রক্ষার সমাজ গঠন করেন এবং এর সাথে বহু মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম হন যা সরসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হতো। এরপর থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে গরু হয়ে ওঠে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ঝাঁ বলেছেন, আর্যদের গরু জবাইয়ের অনেক তথ্য থাকলেও এটি সময়ের সাথে তার আকর্ষণ হারিয়েছে। মৌর্য এবং গুপ্ত শাসনামলের পরবর্তী সময়ে ব্রাক্ষণরা সরাসরি গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত এবং অননুমোদিত করেন। মধ্যযুগের পরবর্তী সময়ে এটা ধর্মীয় প্রতিকৃতি ধারণ করে এবং ১৯ শতকে হিন্দু ধর্মের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়।

সূত্র: ডেইলি ও

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ