রাজনৈতিক কার্যালয় মনিটরিং করছেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রযুক্তির সাহায্যে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
রোববার থেকে এ কার্যালয় শেখ হাসিনার মনিটরিংয়ের আওতায় এসেছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কার্যালয় ও সেটির সামনের সড়ক আলোকসজ্জিত করা হয়েছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে আড্ডা, নানান বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পুরনো ভবন ভেঙে আধুনিক ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন থাকায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডিস্থ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ই দলীয় কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
নেতাকর্মীদের আনাগোনা বৃদ্ধির ফলে কার্যালয়ে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে দলীয় প্রধান সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যালয়টি প্রতিদিন মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে সিসি ক্যামেরাসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস বসানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেত্রীর কার্যালয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বয়ং নেত্রী কার্যালয় মনিটরিং করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দল থেকে প্রয়োজনীয় ডিভাইসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে স্বয়ং নেত্রী প্রযুক্তির সাহায্যে গোটা অক্টোবর মাস এ কার্যালয় মনিটরিং করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই দফায় হাতাহাতি হয়েছে। ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় একজন সিনিয়র নেতার সামনে বেসামাল হয়ে বিরূপ কথাবার্তা বলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির এক সদস্য। এরপরে আরো দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন