রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বর্তমান সরকারের দ্রুত আলোচনা চায় বিএনপি
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে তাগিদ দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চায়, জনগণ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায়, তা জানার জন্য বর্তমান সরকারকে অতিদ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রয়োজন।’
ঢাকার গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো ধরনের দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি দুয়েকজন করেও থাকে, সেটা তারা ব্যক্তিগতভাবে করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঢালাওভাবে মামলা না করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে নিন। এমন কোনো মামলা দেবেন না, যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হবে না। সব মামলা কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে না করে, সম্পৃক্তদের নামে মামলা করতে হবে।’
‘অনেক জায়গায় জেলা প্রশাসকের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আবার নিচ্ছেও। আমরা চাই, বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে। যেভাবে মামলা হচ্ছে, তা এ বিপ্লবকে সংহত করবে না।’
গণবিপ্লবকে নস্যাৎ করতে বা ব্যর্থ করতে অনেক ধরনের চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘ভারত থেকে এখনো অনেক ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের বিপ্লবকে নস্যাৎ করে দেওয়া। যেখানে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, যার এক পারসেন্টও সঠিক না।’
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে বেশি ত্যাগ করে যাচ্ছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর জেল খেটেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাসিত হয়েছেন। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যারা অন্যায় নিপীড়নের শিকার হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা লড়াইটা করেছি গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য। সেটার জন্য তো আমরা নির্বাচনের কথা বলব। এটা তো আমাদের অধিকার আছে। আমরা নির্বাচনের জন্যই এতদিন সংগ্রাম লড়াই করে আসছি।’
‘যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হলো, তখন সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য ওই দলগুলো মিলেই আন্দোলন করেছি। এ আন্দোলনের পর ওই দলগুলোকে কিন্তু অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি তাদের অফিস পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই বিষয়টিকে বাদ দিয়ে তো কোনো রাজনৈতিক চিন্তা করব না।’
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তাদের যৌক্তিক সময় দেবো। আমরা তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি।’
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। যেকোনো দল যেকোনো ব্যক্তি তার স্বাধীন দল করার অধিকার রাখে। এটিই গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন