রাজন হত্যায় পুলিশের ৬ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৩) হত্যা মামলায় পুলিশের ছয় কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধার আদালতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য দেওয়া সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন— জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন, রাজন হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা একই থানার বরখাস্ত হওয়া (ওসি, তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল আমিন, এসআই শামীম আকঞ্জি, এএসআই সোহেল রানা ও সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহাদেব বাঁছাড়।
একই আদালতের সরকারি কৌশুলী (পিপি) এ্যাডভোকেট মফুর আলী সাক্ষ্যগ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিশু রাজন হত্যা মামলায় আদালতে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষী রয়েছেন।
রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদারের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানান পিপি মফুর আলী।
এর আগে ১ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে মামলার বাদী জালালাবাদ থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেরত আনা কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর আদালত চার্জ গঠন করে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই চোর অপবাদ দিয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পৈচাশিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। প্রায় ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
গত ১৬ আগস্ট ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন— সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন