রাজন হত্যায়, ১৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট
অবশেষে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যার ৩৯ দিনের মাথায় রোববার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তা দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। অভিযোগপত্র নং ৮১, ধারা-৩০২/২০১/৩৪। চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে সৌদি আরবে আটক প্রধান ঘাতক কামরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে।
অন্য আসামিরা হচ্ছে- চৌকিদার ময়না মিয়া, মুহিত আলম, আলী হায়দার, শামীম, তাজ উদ্দিন বাদল, ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর মিয়া, আয়াজ আলী, রুহুল আমিন, পাভেল, দুলাল আহমদ, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফিরোজ আলী ও আজমত উল্লাহ। এর মধ্যে পলাতক রয়েছে কামরুল (সৌদিতে আটক), শামীম ও পাভেল। আসামিদের মধ্যে ৮ জন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরা হচ্ছে- ময়না মিয়া, মুহিত আলম, আলী হায়দার, নূর মিয়া, আয়াজ আলী, দুলাল আহমদ, ফিরোজ আলী ও আজমত উল্লাহ। চার্জশিটে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ২ জনকে। তারা হচ্ছেন- ইসমাইল হোসেন আবলুস ও মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম। চার্জশিটে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ চার্জশিট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চার্জশিটে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা আক্তার মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, চার্জশিট দেয়ার আগে আমাদের জানানো হয়নি। তারা বলেন, খুনিদের বাদ দিয়ে চার্জশিট হলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করব।
৮ জুলাই শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৈশাচিক নির্যাতনে শিশু রাজনকে খুন করা হয়। দু’দিন পর রাজনের ওপর চালানো নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয় ঘাতক চক্র। এতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। খুনিদের রক্ষায় জালালাবাদ থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার উঠেপড়ে লাগার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে তাদের বরখাস্ত করা হয়। তোলপাড় শুরু হয় প্রশাসনে। সৌদি আরবে স্থানীয় জনতা প্রধান আসামি কামরুলকে ধরে পুলিশে দেয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারের মন্ত্রীরা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের আশ্বাস দেন। সবশেষ পাঁচদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যেই এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন : রাজনসহ সারা দেশে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার জিন্দাবাজারে স্কুলের সামনের রাস্তার দুই পাশে আধঘণ্টা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষিকা বাবলী পুরকায়স্থ। সমাবেশ পরিচালনা করে স্কুলছাত্রী মৌরিন সুলতানা ও আয়শা বেগম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন