রাজশাহীকে হারিয়ে কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় জয়
শেষ দিকে এসে জ্বলে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বরিশাল বুলসের পর এবার রাজশাহী কিংসকে উড়িয়ে দিয়েছে গেল বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা। টানা দুই ম্যাচ জিতল তারা। যদিও শেষ চারে খেলার আশা নেই তাদের। সুতরাং শিরোপা ধরে রাখার সুযোগও নেই। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজারা সম্মান পুনরুদ্ধার করেই আসর শেষ করতে চাইছেন বুঝি।
এই রাজশাহীকে হারিয়েই টানা ৫ হারের পর জয়ে ফিরেছিল কুমিল্লা। সেটি চট্টগ্রামে। তারপর আবার টানা দুই ম্যাচে হার। মঙ্গলবার মিরপুরে বরিশাল বুলসকে দাপটে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফেরা আবার। এবং সেই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীকে বুধবার কুমিল্লা হারাল ৮ উইকেটেই। এদিন রাজশাহীকে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দল বানিয়ে দেন মাশরাফি-সাইফুদ্দিনরা। শেষে ফ্রাঙ্কলিনের ৩১ বলে ৪৪ রানের হার না মানা তাণ্ডবে বলার মতো কিছু পায় রাজশাহী। ৭ উইকেটে করে ১২৪ রান।
কিন্তু আহমেদ শেহজাদের ৪৪ ও মারলন স্যামুয়েলসের অপরাজিত ৫৫ রানে জয় কঠিন হয়নি কুমিল্লার। ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২৫ রান তুলে সহজে জিতেছে কুমিল্লা। এই ম্যাচ জেতায় কুমিল্লা পয়েন্ট টেবিলে নিচের দিক থেকে বরিশালকে স্পর্শ করলো। ১০ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। আর রাজশাহী ১০ ম্যাচের ৫টি হারল। ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শেষ চারের লড়াইয়ে চারে যুগ্ম ভাবেই অবস্থান তাদের।
আগের ম্যাচে রানে ফেরা ইমরুল কায়েস এদিনও মাত্র ৯ রানে আউট। মেহেদী হাসান মিরাজকে তুলে মেরে দলের ১৬ রানের সময় বিদায়। তারপর থেকে কুমিল্লার ইনিংস শান্ত নদী যেন। তবে ৯ ওভার পর্যন্ত। তখন রান ৬১। স্যামুয়েলস ও শেহজাদ সতর্ক ব্যাটিং চালাচ্ছেন। কিন্তু দশম ওভারেই মেহেদীকে পর পর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে দেন স্যামুয়েলস। ওই ওভারে ২০ রান।
আবার ধীর শান্ত সব। শেহজাদ ৪৫ বলে ৪৪ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার। ভাঙে ৯০ রানের জুটি। জিততে ২৮ বলে ১৯ দরকার আর। এবং ওভাবেই স্যামুয়েলস নির্ভার চিত্তে এনে দেন জয়। আসরে দ্বিতীয় ফিফটি তার। ৪১ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় তার ৫৫ রানের ইনিংস গড়া।
অথচ টস জিতে রাজশাহীর শুরুটা ঝড়ের মতোই ছিল। মুমিনুল হক ও নুরুল হাসানের ওপেনিং জুটিতে ৪ ওভারে ৩৭ রান পেয়ে যায় তারা। এরপর কুমিল্লার বোলাররা আঘাত হানতে শুরু করেন। ২০ রান করে মুমিনুল বোল্ড হন রশিদ খানের বলে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাশরাফি তুলে নেন ১৭ রান করা নুরুলকে।
৪৬ থেকে ৫৯, মানে ১৩ রান তুলতেই এই পর্যায়ে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। আগের দিন বিশাল অংকের জরিমানার শাস্তি পাওয়া সাব্বির রহমান (৮) ব্যর্থ। তরুণ পেসার সাইফুদ্দিন পর পর ২ ওভারে তুলে নেন সামিট প্যাটেল (৪), মেহেদী হাসান (৭) ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে (০)।
এই ধাক্কা সামলাতে সামলাতেই ফরহাদ রেজা (১৩) হলেন মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার। শেষ ঝড় তুললেন নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্রাঙ্কলিন। ইনিংসের শেষ ওভারে শাহাদাত হোসেনকে ৩টি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মেরেছেন। ওই ওভারে এসেছে ২৪ রান। ৩১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত ফ্রাঙ্কলিন। কিন্তু দলের আর কাছ থেকেও ঝড় দরকার ছিল। তা হয়নি বলে কুমিল্লার সামনে রানটা বড় হয়ে দাঁড়ায়নি। হেরেছে রাজশাহী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন