রাজিব-রাজন-রাকিব হত্যা মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায়
পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী, ব্লগার রাজীব, সিলেটের শিশু রাজন ও খুলনার শিশু রাকীব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আনা হয়েছে।
আজ সোমবার মামলাগুলো হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে কার্যতালিকায় ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদালতের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আনা হয়েছে। আশা করি, মামলাগুলোর শুনানি পর্যায়ক্রমে শুরু হবে।
হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান, ব্লগার রাজীব হায়দার, সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন এবং খুলনার শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের বিচার শেষে নথি আসে হাইকোর্টে। যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।
এসব মামলার দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের পেপারবুক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনবিষয়ক (ডেথ রেফারেন্স) ৭২০ পৃষ্ঠার, রাজন হত্যা মামলার পেপারবুকের মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭০৬ পৃষ্ঠা, রাকিবের ৪৩৫ পৃষ্ঠা এবং ব্লগার রাজীবের ৯২০ পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত বছর ১০ ও ১৯ নভেম্বর শিশু রাজন, শিশু রাকিব এবং পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার বিচারিক আদালতের নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। এরপর শুরু হয় মামলাগুলোর পেপারবুক তৈরির কাজ। খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব মমালার পেপারবুক তৈরি করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলা
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার দিন বিকেলে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। পরে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ঐশী রহমান।
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলা
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নিজ বাসার সামনে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দার। পরের দিন তাঁর বাবা হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে রাজিব হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়ে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় দেন।
সিলেটের শিশু রাজন হত্যা মামলা
২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁও এলাকায় চুরির ঘটনায় সামিউল আলম রাজনকে হত্যা হয়। বিচার-প্রক্রিয়া শেষে চারজনের ফাঁসির আদেশ দেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আসামিরা।
খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলা
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ের একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় রাকিবকে। পরে খুলনার আদালত এ ঘটনায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন