রাজ-লক্ষ্মীর দীর্ঘ ৫৫ বছর কেটে যায় কিন্তু তাদের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি
১৯৬২ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন খায়রুন নেসা লক্ষ্মীকে। এরপর দীর্ঘ ৫৫ বছর কেটে যায় কিন্তু তাদের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি। এখনো বিবাহবার্ষিকী এলে হারিয়ে যান পুরোনো সেই স্মৃতিতে। তিনি আর কেউ নন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক।
আজ ২ মার্চ। আজকের এই দিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক ও খায়রুন নেসা লক্ষ্মী। তাদের দাম্পত্য জীবনের ৫৫ বসন্ত অতিক্রম করছেন আজ। ৫৫তম বিবাহবার্ষিকীতে বিশেষ কোনো আয়োজন করেননি তারা। তবে সকালে ছেলেমেয়েরা সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এ দম্পতিকে এমনটাই জানান নায়ক রাজের ছোট ছেলে চিত্রনায়ক সম্রাট।
এ প্রসঙ্গে নায়ক সম্রাট বলেন, ‘বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীতে আমরাই তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। সন্ধ্যার পর সবাই বাসায় উপস্থিত থাকি।’
রাজ-লক্ষ্মী দম্পতির ঘরে তিন পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছেন। তারা হচ্ছেন বাপ্পারাজ, বাপ্পি, সম্রাট, শম্পা ও ময়না। তাদের মধ্যে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ ও চিত্রনায়ক সম্রাট বাবার পথ ধরে অভিনয় জগতেও বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দুজনে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাতা হিসেবেও কাজ করছেন।
বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক আব্দুর রাজ্জাক চলচ্চিত্রশিল্পে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল পার করেছেন। ৬০-এর দশকে হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাকের অভিনয় জীবনের সূচনা । এরপর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। এই সিনেমাতে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি । সেই থেকে শুরু। দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে বেশ কয়েকটি জুটিতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। রাজ্জাক-সুচন্দা, রাজ্জাক-কবরী, রাজ্জাক-শাবানা ও রাজ্জাক-ববিতা এরা জুটি হিসেবে আজও স্মরণীয়।রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে রাজ্জাকের ঝুলিতে রয়েছে তিনশোটির মতো বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র। ৬০-এর দশকের শেষ থেকে ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠেন । রাজ্জাক অভিনীত জননন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে -নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, মধু মিলন, পীচ ঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেয়া, কী যে করি, অবুঝ মন, রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, ওরা ১১ জন, গুন্ডা, অশিক্ষিত, অগ্নিশিখা, ছুটির ঘন্টা, মহানগর, বড় ভাল লোক ছিল, নাজমা, চন্দ্রনাথ, অভিযান, শুভদা, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, যোগাযোগ, অন্ধ বিশ্বাস, বাবা কেন চাকর ইত্যাদি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন