রাত হলেই হাজার-হাজার যৌনকর্মী প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে খদ্দের খোঁজে..!

আইনগতভাবে নিষিদ্ধ যৌনবৃত্তি৷ তবুও ক্রমশ বাড়ছে দেহব্যবসা৷ কাউকে ধরে আনা হচ্ছে জোর করে৷ আবার কেউবা পয়সার অভাবে খাদ্য যোগাতে নামছে আদিম এই পেশায়৷এটি পাকিস্তানের কথা৷ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও পাকিস্তানে ক্রমশ বাড়ছে দেহব্যবসা৷
কানিজ ফাতিমা৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক ছোট্ট গ্রামে বেড়ে ওঠে সে৷ ভাগ্যক্রমে স্কুল শিক্ষাও হয়েছিল তার৷ কিন্তু তারপরই পাকিস্তানের গতানুগতিক ধারায় অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তার৷ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাতিমা জানায়, শুরুতে ভালোই ছিল, কিন্তু একসময় কর্মহীন হয়ে পড়ে আমার স্বামী৷ ততদিনে ফাতিমার কোলে দু-দুটি সন্তান৷ ফলে কাজের সন্ধানে নামতে হলো তাকে৷ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ মিললো একটি রেড-লাইট এলাকাতে। একসময় সেখানকার মানুষের প্রলোভনে শেষমেশ যৌন ব্যবস্থায় নাম লেখায় ফাতিমা৷ জানায়, কাজের সন্ধানে আমি তখন পাগল ছিলাম আর এরচেয়ে ভালো টাকা আর কোন কাজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷
এখানেই শেষ নয় ফাতিমার গল্প৷ শুরুতে পরিবারের কাছে গোপন রাখলেও একসময় জানাজানি হয়ে যায় তা৷ একদিন খেতে দিতে না পারা স্বামী তাকে ডেকে নিয়ে যায় গ্রামে৷ তারপর গুলি করে ফাতিমাকে৷ ভাগ্যক্রমে বুকে বুলেট নিয়েই পালাতে সক্ষম হয় সে৷ এখন তার ঠিকানা লাহোরের এক রেডলাইট এলাকায়।
এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, লাহোরে অন্তত ৩ হাজার যৌনকর্মী রয়েছে যারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে খদ্দেরের খোঁজে৷ আর চাহিদাও এত বেশি যে মধ্যরাতের আগেই খদ্দের পেয়ে যাচ্ছে তারা৷ তাদেরকে সহায়তা করছে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু পুলিশ ৷ যৌনকর্মীদের দিয়ে পুলিশের সহায়তায় মানুষকে হয়রানির ঘটনাও লাহোরে বিরল নয়৷ পাকিস্তানে নাকি এক শ্রেণীর বাবা, মা, ভাই এমনকি স্বামীরাও এই ব্যবসায় পাঠাচ্ছে মেয়েদেরকে৷ এমনই এক তরুণী ২০ বছরের নিদা৷ সে জানায়, ১০ হাজার টাকার ঋণ শোধ করতে প্রথমবার তার মা-ই তাকে নাকি দেহ ব্যবসায় নামায়৷ সে সময় নাকি নিদার বয়স ছিল মাত্র ১৪!
নিদা অবশ্য থাকতে চায় না এই ব্যবসায়৷ সে জানায়, আমিও স্বপ্ন দেখি সংসার আর সন্তানের৷ কিন্তু সে সুযোগ আর নেই৷
সরকার যদি তার পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়, তবে এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে রাজি নিদা৷
তবে মারিয়া-র অবস্থা ভিন্ন৷ স্বামী অকর্মণ্যের ঢেঁকি হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে দেহ ব্যবসায় নেমেছিল সে৷ চলছিল ভালো৷ কিন্তু পাকিস্তানের বড় হোটেলগুলোতে হামলা বেড়ে যাওয়ায় অনেকটাই দুশ্চিন্তায় মারিয়ার মতো যৌনকর্মীরা৷
ফাতিমা জানিয়েছে, যৌনকর্মীদের উপর নির্যাতনও নাকি বাড়ছে দিনে দিনে৷ বিশেষত খদ্দেরের অদ্ভুত চাহিদা মেটাতে না চাইলে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা৷ অনেকসময় মেরেও ফেলা হচ্ছে৷ আর যৌনকর্মীর মৃত্যু নিয়ে ভাবতেও নাকি রাজি নয় কেউ৷
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির অন্তত ১২টি শহরের যৌনকর্মীরা এইচআইভি/এইডস এর ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ ইউনিসেফ এর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আনুমাণিক ৮৫ হাজার৷ আর তাই বেড়ে চলা দেহব্যবসার সঙ্গে এইচআইভি/এইডস এর ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে পাকিস্তানে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন