রাবার বুলেটে আহত লাকি আক্তার
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আধাবেলা হরতালে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তার। বেলা ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে তার হাতে গুলি লাগে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে পুলিশ গুলি ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা শাহবাগ এলাকা জড়ো হয়ে যান চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বাধা পেয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে পিছু হটে। এরপর আবার জড়ো হয়ে তারা সকাল ১০টার দিকে শাহবাগের দিকে আসার চেষ্টা করে। এই পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
একটি বুলেট লাগে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা লাকি আক্তারের বাম হাতে হাতে। সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাকে সরিয়ে নিয়ে হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধে। এরপরও তিনি বিক্ষোভস্থলে ফিরে আসেন।
লাকি আক্তার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বোমাবাজদের হরতাল দেখেছি, তাদের ওপরও পুলিশ এভাবে হামলা করেনি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা ন্যাক্কারজনকভাবে টিয়ার শেল মেরেছে। এমনকি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভেতরে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তারা টিয়ার শেল মেরেছে।’
ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দমন পীড়ন করে সরকার আমাদের আন্দোলন দমাতে পারবে না। দেশের জনগণের ক্ষতি করে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেওয়া হবে না কোনোভাবেই। সরকার যত বাধা দেবে, তত বেশি জোরালো হবে প্রতিবাদ।’
লাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে। তা ছাড়া ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা অসম। এর ফলে আমরা অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। যে কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা প্রতিবাদে নেমেছি।’
এই হামলায় ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর, ছাত্র ইউনিয়নের লাবনী মণ্ডল, আশিক আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা জয় বণিকসহ বেশ কয়েকজনও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘শাহবাগ মোড় একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে কেউ অবরোধ করলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাতেও বিঘ্ন ঘটে। এখানে তারা বারবার চেষ্টা করছেন শাহবাগ মোড় অবরোধ করার জন্য। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেইনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা টিয়ার শেল ও গরম পানি ছুড়ে তাদেরকে হটানোর চেষ্টা করেছি। তবে কোনো ধরনের গুলি ছুড়িনি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন