রাব্বীর মামলা নেওয়ার নির্দেশ
পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন নাজমুন আরা সুলতান, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন ও হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ সময় আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনায় সমালোচনা করেন। রাব্বী যদি নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে বা থানায় নতুন করে মামলা করেন তা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ও এক গণমাধ্যমকর্মীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া গোলাম রাব্বীকে নির্যাতন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রাব্বীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে কেন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাব্বীর করা লিখিত অভিযোগ ‘এফআইআর’ হিসেবে নিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ছিল না।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রোববার নির্যাতনের ঘটনায় তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন ঘটনার দিন রাব্বীকে উদ্ধারকারী তাঁর বন্ধু সাংবাদিক জাহিদ হাসান এবং দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বীকে আটক করেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
রাব্বীর অভিযোগ, ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী বানানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ান এবং মারধর করেন। এমনকি তাঁকে বেড়িবাঁধে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেন।
পরদিন সকালে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রাব্বী। তবে তা মামলার হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। পুলিশের মারধরের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই মাসুদকে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ১১ জানুয়ারি সকালে তাঁকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন