রামপাল নিয়ে বিএনপির তথ্য নির্ভুল : প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার চ্যালেঞ্জ
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপি যে তথ্য দিয়েছে তা নির্ভুল, সরকার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার রাত পৌঁনে দশটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের জেরে বিএনপি খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি সুন্দরবন নিয়ে কথা বলায় ওনার (শেখ হাসিনা) গায়ে লেগেছে। ওনার গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। উনি বলুক যে তথ্য আমি দিয়েছি সেগুলো ভুল কি না।
খালেদা জিয়া বলেন, সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ, এটা কোনও দলের না। আমরা বলিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। আমরা বলেছি যে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যত্র করা হোক।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। এখন ক্ষমতায় আছেন তাই হয়তো কাউকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে গেলে মানুষকে এর জবাব দিতেই হবে। আওয়ামী লীগ সরকার বহু রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো এরকম আরও আছে। পরবর্তীতে এগুলো জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের কেন জীবিত গ্রেপ্তার করছে না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগছে বলে জানান খালেদা জিয়া।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্র কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না। আর যদি পৈত্রিক সম্পত্তিও হয় তাহলেও দেশের বিরুদ্ধে গেলে তা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সকল কাজই রাষ্ট্রবিরোধী। আমি তাদের সকল রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্মগুলো জনগণের কাছে খুব শিগগির তুলে ধরবো। আর আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের (সরকার) সড়ে যেতে বাধ্য করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ কোন ধর্মই মানে না। সেই কারণে তারা সকল অপকর্ম ও পাপ কাজের সঙ্গে জড়িত।
আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি ও অপকর্মগুলো ঢাকতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গুলশান হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার সঠিক তথ্য সরকার জনগণকে জানায়নি। এমনকি এই ঘটনার কোন তদন্তও হয়নি। আর এটা শেষ না হতেই তারা নিয়ে আসলো কল্যাণপুরে জঙ্গি গ্রেফতার। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সরকার এখন পর্যন্ত কোন জঙ্গিকে ধরতে পারেনি।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের কেনো জীবিত ধরা হচ্ছে না? আপনারা বলছেন, পুলিশ বাহিনী শক্তিশালী। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি জানি পুলিশ শক্তিশালী। তবে কেনো ধরতে পারলেও জঙ্গিদের জীবিত ধরা হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এখন জঙ্গিবাদের সাথে দেশের যুবকদের জড়িত করছে এবং ইংরাজি ইউনিভার্সিটিকে দায়ী করছে। তাই তারা ইউনির্ভাসিটিগুলো বন্ধ করেছে। কিন্তু এগুলো ইউনিভার্সিটিগুলো খুবই ভালো। বিদেশ থেকে অনেক শিক্ষিকরা শিক্ষার্থীদের লেখা- পড়া করান।
বেগম জিয়া বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাভাইসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে জীবিত ধরেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্যও পেয়েছি। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি জঙ্গিকেও জীবিত ধরেনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরও অনেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন