‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন সম্ভব নয়’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক পলা সেবালেরো প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী প্রথমে বলেন, ‘রামপাল নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। আমি রামপাল যাচ্ছি। ফিরে এসে এ বিষয়ে কথা বলব। তবে রামপাল নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে ভালো। এতে পরিবেশের তেমন ক্ষতি হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এত এত নৌকা আসবে, এত কয়লা আসবে, এই নৌকা আসার ফলেই তো ফ্লোরাসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব থাকবে না।’
‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করে এটা অন্য কোথাও করা যায় কিনা— সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্ভাবনা বোধ হয় এখন আর নেই। কিন্তু কোথায় করা যায়?’
‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকার দেশের পশ্চিম উপকূলীয় স্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহেশখালী ও কুতুবদিয়া কিংবা পটুয়াখালী, ভোলা ও খুলনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার কথা ভাবছে সরকার।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘দেশে আর গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সুযোগ নেই এটা আমরা বুঝেছি। সে জন্য আগামীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নির্মাণ করা হবে।’
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে সুন্দরবন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও কোস্টাল ফরেস্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সুন্দরবনে যে কাজ করা হচ্ছে এতে করে সুন্দরী গাছ খুব বেশি কেটে ফেলছি আমরা। এর ফলে সুন্দরবনের একটা অংশ মূল বন থেকে আলাদা হয়ে যাবে এবং সুন্দরবনের আকার ছোট হয়ে যাবে। এটা আমাদের জন্য ভালো নয়।’
‘আমাদের বনাঞ্চল খুব কম, মাত্র ৯ শতাংশ’ উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ‘সুন্দরবন নিয়ে আমাদের নিজেদেরই কিছু করতে হবে। যেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। একই সঙ্গে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি কাঠের বিকল্প হিসেবে সারাদেশে এলপিজি গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গ : জ্বালানি তেল
জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হবে কিনা— জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। কিন্তু সেটা আমি এখনো দেখি নাই। এ বিষয়ে বৈঠক হবে। বিষয়টি নিয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিতে আলোচনার জন্য ওয়ার্কিং পেপার তৈরি করতে বলেছি। ওই বৈঠকে জ্বালানি তেলের মূল্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে এটা কীভাবে রেসপন্স করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকে পরিবেশ সংক্রান্ত দেশের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং এসব প্রকল্পে আন্তর্জাতিক তহবিল প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঢাকা-অটোয়ার সম্পর্ক জোরদারে তৌহিদ ও মেলানির আলোচনা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলিবিস্তারিত পড়ুন
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরেবিস্তারিত পড়ুন
আন্দোলনের সকল শহিদ এবং আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে: নাহিদ ইসলাম
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহিদ এবং আহতদের নাম তালিকায়বিস্তারিত পড়ুন