রাশিয়াকে এবার শক্তি দেখাচ্ছে ন্যাটো
রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউরোপের সীমান্তে সর্বোচ্চ সৈন্য সমাবেশ করেছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো। নব্বইয়ের দশকে স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম পূর্ব ও উত্তর ইউরোপের সীমানায় এত বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটনো হলো বলে জানিয়েছে সিএনএন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক প্রতিরক্ষায় নতুন কর্মসূচি নেওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্রবাহী আরো জাহাজ তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাশিয়া বিশ্বের মাটি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘সাটান-২’-এর ছবি প্রকাশ করে। ছবিটি প্রকাশ করে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের যে পাল্লা জানিয়েছে তাতে সহজেই ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে আঘাত হানতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপের সীমানায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার পর নড়েচড়ে বসেছে ন্যাটোসহ ইউরোপীয় ও পশ্চিমা জোট। এরই অংশ হিসেবে নব্বইয়ের শীতলযুদ্ধের পর রাশিয়ার সীমান্তের দেশগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে দেশগুলো।
যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে রাশিয়ার পাশের দেশ এস্তোনিয়ায় ট্যাংক, যুদ্ধবিমানসহ সেনা সমাবেশ করেছে। এ ছাড়া আগামী মে মাসে যুক্তরাজ্যের ৮০০ সেনাসহ ন্যাটোর সশস্ত্র বাহিনী ছয় মাসের জন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোমানিয়ার সেনাবাহিনী এরই মধ্যে পোল্যান্ডে ন্যাটোর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী অংশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
পূর্ব ইউরোপে একটি শক্তিশালী ন্যাটোর সেনা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ন্যাটোর যুদ্ধবিমানগুলো রোমানিয়ার আকাশসীমায় টহল দিতে শুরু করেছে। সিএনএনের তথ্যানুযায়ী, ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার খবরদারি ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নজরদারি বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বাল্টিক দেশ এবং পূর্ব পোল্যান্ডে আগামী বছরের শুরুতে আরো সৈন্য পাঠানো হবে। যারা ন্যাটোর শক্তিশালী দ্রুত প্রতিক্রিয়া বাহিনীতে যোগ দেবেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ থেকে আরো অতিরিক্ত চার হাজার সৈন্য চায়, যারা ন্যাটো বাহিনীর হয়ে রাশিয়াকে জবাব দেবে।
এরই মধ্যে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইতালিসহ ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অংশ হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। যারা মূলত ওই চারটি যুদ্ধদলের অংশ হিসেবে পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়ায় পদাতিক, সাঁজোয়া এবং বিমানবাহিনীর অংশ হিসেবে যাবে।
অবশ্য থেমে নেই পুতিনও। গতকালই রাশিয়ার সেনাবাহিনী আরএস-১৮ নামে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এ ছাড়া রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে বেশ কিছুদিন ধরেই সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যে রাখা হয়েছে এবং রাশিয়ার পাশের ছয়টি দেশের বিরুদ্ধে সৈন্যসমাবেশ করেছে।
এদিকে স্বস্তিতে নেই রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করা এবং প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোও। সর্বশেষ ন্যাটো দেশগুলোর বৈঠকে এস্তোনিয়া জানায়, ন্যাটোকে সহায়তার জন্য দেশটি পুতিনের আঘাতের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোর দেশগুলোর দায়িত্ব তাদের রক্ষা করা।
এর পরই পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ায় আগামী মে মাসে যুক্তরাজ্যের ৮০০ সেনাসহ ন্যাটোর সশস্ত্র বাহিনী ছয় মাসের জন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত ন্যাটোর সেনাবাহিনী দেশটিতে একটি স্থায়ী উপস্থিতির কথাও জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মিশেল ফ্যালকন বলেছেন, সেনাবাহিনী এই প্রতিরক্ষা মিশনের জন্য তৈরি। চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধযান এবং বহনক্ষম ড্রোনের সমন্বয়ে সেনারা যুদ্ধযাত্রায় তৈরি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন