রাষ্ট্রপতি যেভাবে চান, সেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।’
বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত। এজন্য দেশের মানুষ কেন ভুক্তভোগী হবেন। ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তরান্বিত করতে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াতের সময় দেশ দুর্নীতি-দুঃশাসনে ছেয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তারা হাওয়া ভবন খুলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির মুখে ভোটচুরির অভিযোগের কথা মানায় না। বিএনপির আমলে মাগুরাসহ অনেক নির্বাচনে ভোট চুরির মহোৎসব দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সর্বশেষ ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচনও দেশের মানুষ দেখেছে। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ দেখেছে। তাই তাদের মুখে ভোটচুরির অভিযোগ মানায় না। তারা ভুয়া ভোটার করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষের আন্দোলনের মুখে তারা টিকতে পারেনি। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের নির্যাতিত মানুষকে মানবতার কারণে এদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার জন্য তারা দায়ী যারা মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে। এদের মধ্যে যদি কেউ এদেশে এসে থাকে, তাদের গ্রেফতার করে সেদেশের সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।
তিনি বলেন, বিমানের ঘটনা মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। কারণ আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৭ বছরে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। যুব সমাজকে কর্মক্ষম করতে তাদের স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনা বিচারে কেউ যাতে কারাগারে থাকতে না হয় সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ৮টির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ এসব অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।
কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উপনীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন