রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পরও ভোটার নন হিজড়ারা!
‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দুই বছর পার হলেও এখনও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার তালিকায় স্থান পায়নি হিজড়া সম্প্রদায়। জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের আলাদা করে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনও গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সরকার ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে হিজড়া সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি প্রদান করে। তখন থেকে পাসপোর্ট ও নথিপত্রে তাদের লিঙ্গপরিচয় ‘হিজড়া’ উল্লেখ করতে পারেন। ওই স্বীকৃতির পরপরই নির্বাচন কমিশন তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানায়।
নাম প্রকাশ না করে ইসির এক কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমে নারী-পুরুষের পৃথক অপশন থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোনো অপশন চালু হয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পর দু’বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ হলেও তৃতীয় লিঙ্গের অপশনটি চালু করা যায়নি। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পর হিজড়া সম্প্রদায়ের অনেকেই নারী পরিচয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। সদ্য শেষ হওয়া পৌরসভা নির্বাচনে দুজন হিজড়া নারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর তা কমিশনের নজরে আসে। এজন্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ফরমে নারী পুরুষের পাশাপাশি ‘অন্যান্য’ নামে আরেকটি অপশন যোগ করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর। হিজড়া সম্প্রদায়ের দাবি, তাদেরকে আলাদাভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এ ব্যাপারে কমিশন আলোচনায় বসবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রকল্পের পরিচালক এবি এম মুসা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র ফরমে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আলাদা অপশন চালু হয়নি। তবে তারা নিজেকে যে পরিচয়ে পরিচিত করতে চান সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিষয়টি নতুন হওয়ার কারণে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এজন্য সময় লাগছে।’
এনআইডি ফরমে কোনো পরিবর্তন বা নতুন বিষয় যোগ করতে হলে নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধন করতে হবে বলে জানান এনআইডি উইংয়ের এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এখন কমিশন নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধন করে নতুন ফরম অনুমোদন দিলে সেভাবে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্র ফরমে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আলাদা অপশন চালু হবে বলে আশা করছেন তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?
চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন
‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ কিছুটা সময় লাগতে পারে, ধৈর্য ধরার আহ্বান
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন বই পাবে
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবেবিস্তারিত পড়ুন