শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘রাষ্ট্রের প্রকৃত সংস্কার করতে সরকারকে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের যে ঐতিহাসিক বিজয় এবং গণঐক্য তৈরি হয়েছে তাকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে রাষ্ট্রের প্রকৃত সংস্কার করতে হবে। কয়েকজন সংসদ সদস্য বা বিচারপতি যেন এই আকাঙ্খাকে পরিবর্তন করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংস্কার সংলাপে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসব দাবি তুলে ধরেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব এবং অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় করণীয় প্রসঙ্গে ‘সংস্কার সংলাপ (পর্ব-৩)’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্য, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।

এতে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করার মাধ্যমে এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। এই যুদ্ধ মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করতে গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ক্রমেই ঐক্যবদ্ধ হতে হতে জাতীয় ঐক্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এই প্রথম একটি সরকার পেয়েছে, যে সরকার ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের ওপর প্রতিষ্টিত এবং যে সরকারে আন্দোলনকারী নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ রয়েছে। এই অবস্থায় সকল পক্ষের উচিত হচ্ছে, এই বিজয় এবং ঐক্যকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।’

সংলাপে অংশ নেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া বলেন, ‘শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট মাফিয়া শাসকদের সরানোর জন্য এতো মানুষ জীবন দেয়নি। তারা জীবন দিয়েছে এমন একটি ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে যাতে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে আর কোনো শাসক এমন ফ্যাসিস্ট ও মাফিয়া জুলুমবাজ হয়ে উঠতে না পারে।’

এসময় ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘৭০ সালের মতো একইসঙ্গে গণপরিষদ সংবিধান তৈরি করবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এইরকম সুযোগ আছে কি না সেই ব্যাপারে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবারের পরিবর্তন যাতে টেকসই হয়, জনগনের অনুমোদন ছাড়া, কয়েকজন বিচারপতি বা সংসদ সদস্য যাতে এবারের পরিবর্তনকে আদালতে বা সংসদে বসে নস্যাৎ করে দিতে না পারে। মানুষের সেই আকাঙ্খাকে স্থায়ী করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামোর সংস্কার করতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একব্যক্তিকেন্দিক ক্ষমতাকাঠামো সংস্কার করতে হবে। আমরা খুবই আশাবাদী, এত বড় আত্মদান, এত বড় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে তা অভাবনীয়।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিয়মতান্ত্রিক সংলাপ শুরু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ৭২ এর সেটেলমেন্ট ভেঙে পড়েছে, ২০২৪ সালের জন্য সময়োপযোগী সেটেলমেন্ট তৈরি করতে উদ্যোগ নিন। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৭২ সালে যে এক ব্যক্তিকেন্দিক ক্ষমতা তৈরি করা হয়েছিল; যার কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেই ক্ষমতাকাঠামো সংস্কার করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে ওই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ওপর নগ্ন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তার বিচার করতে হবে।’

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এই সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা যেন সংকটকালীন সময় যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম সামনের দিনেও সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংস্কারের জায়গায় কাজ করতে পারি।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সংস্কার সংলাপে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন

রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন

যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ধর্ম উপদেষ্টা: মসজিদে নববীর আদলে গড়ে তোলা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
  • রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে
  • ২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রুটে ট্রেন চলবে
  • ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
  • সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
  • রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
  • ড. ইউনূস: খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত
  • দেশের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন
  • ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস
  • পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩৮
  • সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
  • ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ