‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন সংগঠনগুলোর যুদ্ধ ঘোষণা’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গোপন সংগঠনগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।নরম লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে তারা বোঝাতে চেষ্টা করছে যে বাংলাদেশে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। খবর-বিবিসি’র।
বাংলাদেশে সম্প্রতি একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেনো থামানো যাচ্ছে না বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীতে গুপ্তহত্যা ঠেকানো অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ।”
তবে তিনি বলেছেন, “সরকার একটি দিক থেকে সফল হয়েছে যে সরকারের বড় বড় স্থাপনা ও জনপথগুলোতে তারা আর আক্রমণ করতে পারছে না। তাদের ক্ষমতা কমে গেছে।”
তারা যে বেঁচে আছে এটা বোঝানোর জন্যেই তারা এখন নরম বস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।”এই পরিকল্পিত গুপ্তহত্যার মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে ভীতি সঞ্চার করা ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখনই শান্ত থাকে তখনই একটা ধাক্কা দেওয়ার জন্যে এরকম দুই পাঁচটা ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে।”“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে”
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।“আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি বলেই তারা এখন নরম বস্তুকে হামলার লক্ষ্য করেছে।”
বাংলাদেশে এ সপ্তাহেই প্রায় একই কায়দায় তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার চট্টগ্রামে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রী ও নাটোরে এক খৃস্টান দোকানিকে হত্যা করা হয়। আজ মঙ্গলবার ঝিনাইদহে একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে হামলাগুলো চালানো হচ্ছে কিন্তু এসব পরিকল্পিত ঘটনা। এসব হামলা হত্যাকাণ্ডের জন্যে হাসানুল হক ইনু সরকারবিরোধীদের দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, “আগুন যুদ্ধে খালেদা জিয়া পরাজিত হওয়ার পর থেকে সারা বাংলাদেশে এদিকে ওদিকে পরিকল্পিতভাবে নরম লক্ষ্যবস্তুর ওপর আক্রমণ পরিচালনা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন এসব হামলাকারীর তালিকায় বিএনপি জামায়াতের নামও রয়েছে।“যারা এই আগুন-যুদ্ধের পক্ষে ছিলো, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ছিলো তারা সবাই এর রাজনৈতিক ছাতা ধরে রেখেছে। এসবের পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।”
তিনি বলেছেন, ১৩টি হামলার সাথে জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের কাছে পেশ করা হচ্ছে। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই এসব তথ্য প্রমাণ তৈরি করা হচ্ছে।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবি, জামাত শিবির এসব নামে যেসব সশস্ত্র সংগঠন কাজ করছে তাদের সম্পর্কে ধারণা আছে বলেই পুলিশ ৪৯ জনকে আটক করতে পেরেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
দিল্লি থেকে ইইউ দেশগুলোর ভিসা সেন্টার স্থানান্তরের অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকেবিস্তারিত পড়ুন
কুয়েটের আরও ৫ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আরও ৫ শিক্ষককে সাময়িকবিস্তারিত পড়ুন
তারেক রহমান: আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষার যাত্রায় আছি
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বলেছেন, “জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকারবিস্তারিত পড়ুন