রিমান্ডে সারা রাত পিটিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্কুল ছাত্র রিয়াদ হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন আলমগীর হোসেন (২২) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার আমলী আদালত-৬ এর বিচারক ফাহদ বিন আমিন চৌধুরীর কাছে সে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সেসহ ৪ জন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তবে আদালতে থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে আলমগীর হোসেন চিৎকার করে বলতে থাকে তাকে সারা রাত পিটিয়ে পুলিশের কথা মতো স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সে এ ঘটনায় জড়িত না।
জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে হোটেলের কর্মচারী খোকন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে দিশাবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেনকে হত্যার পর বাজারের একটি পরিত্যক্ত দোকানের পাশে তার লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখা হয়। ১ মার্চ পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার রাতেই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের দিশাবন্দ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন ও একই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে ফারুক হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের সাত দিনের রিমাণ্ডের আবেদন
করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। আদালত আলমগীরের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আর অপর আসামি ফারুককে চট্টগ্রামের শিশু সংশোধনাগারে পাঠায়। রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগেই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আলমগীর হোসেন।
কুমিল্লার পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান, রিয়াদ হত্যা মামলার আসামী আলমগীর হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিপুল চন্দ্র ভট্ট জানান, আসামী আলমগীর হোসেন রিমান্ডে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে প্রায় ফল চুরি করা এবং ঘটনার দিন এক মুঠো আঙ্গুর চুরি করার কারণে সে, ফারুক, আজিম ও মিজান তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখে।
এ দিকে কুমিল্লার আদালত থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে আলমগীর হোসেন বলে সে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়। তাকে সারা রাত পিটিয়ে এ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন সে সময় বলে, সারা রাত আমাকে মেরেছে। মারার পর দারোগা আমাকে বলেছে আমরা যে যে ভাবে বলবো সেভাবে আদালতে বলতে হবে। পুলিশ সারা রাত মারার পর ভয়ে আমি তাদের শেখানো কথা আদালতে বলেছি।
অপর দিকে রিমান্ডে নেয়া আলমগীর হোসেনের বড় ভাই মো: রশিদ জানান, তার ভাই নির্দোষ। সে এ ঘটনায় জড়িত না। মো: রশিদ কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জের পূরবী ট্রান্সপোর্টে চাকরি করেন।
উল্লেখ্য, মনোহরগঞ্জ উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের হোটেল কর্মচারী খোকন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে স্থানীয় দিশাবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ পাশ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ বাজারে পরিত্যাক্ত একটি দোকানের পাশ থেকে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন