নাজনিন আক্তার হ্যাপি- উঠতি অভিনেত্রী, ইশরাত পায়েল- উঠতি উপস্থাপিকা। এই দুজন বিনোদন জগতের আলোচিত তরুণী। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা চলে এসেছেন বাংলাদেশের খেলার ভুবনে। নিজেদের জগতে তারা এখনও যতটা না আলোচিত তার চেয়ে বেশি এখন খেলায়। এই দুজনকেই খেলার ভুবনে যুক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। হ্যাপি-রুবেলের কিচ্ছা-কাহিনী কার না জানা আছে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয় তাদের মুখরোচক কাহিনী। হ্যাপির মামলায় রুবেল হোসেনকে জেলও খাটতে হয়েছে দুই দিন। কিন্তু এই পায়েলের আগমন কোথা থেকে! রুবেল হোসেন একটি সেলফি তুলেই ইশরাত পায়েলকে যুক্ত করেছেন হ্যাপি বিতর্কের সঙ্গে। তাতেই ক্ষিপ্ত হ্যাপি পায়েলকে নিয়ে শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাসই দেননি। ফোন করে শাসিয়েছেনও। দু’দিন আগে অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘রুবেলের জন্য এখন আমার শুধুই ঘৃণা হয়। একটু আগে নিশ্চিত হলাম রুবেল নতুন রিলেশনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মেয়েটার নাম ইশরাত পায়েল, মেয়েটা মিডিয়ারই একজন সদস্য। হয়তো চিনলে চিনতেও পারেন। বিসিবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিল। রুবেল তার জন্য এখন খুব সিরিয়াস।’

অন্যদিকে পায়েল মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, ‘ও (হ্যাপি) শুধু আমাকে নিয়ে স্ট্যাটাসই দেয়নি। আমাকে ফোনও করেছে। আমাকে বলেছে রুবেলের পিছু ছেড়ে দিতে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি রুবেল হোসেনের সঙ্গে আমার কোন ধরনের সম্পর্কই নেই। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।’ রুবেলের সঙ্গে যদি পায়েলের সম্পর্ক নাই থাকে তাহলে হ্যাপি কেন হঠাৎ এই ভাবে ক্ষেপে উঠলেন? কেনই বা ফেসবুকে এই ধরনের স্ট্যাটাস দিলেন? এই বিষয়ে পায়েল বলেন, ‘আমি আসলে কিছুই জানিনা। আমাকে ফোনে সে ধমক দিচ্ছিল। আমি তাকে বলেছি যে রুবেলের সঙ্গে আমার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। সে যেন ফেসবুক থেকে আমার নামটি মুছে দেয়। আমার সঙ্গে কথা বলা শেষে সে আমাকে সরি বলে। আর ফেসবুক থেকেও নামটি মুছে দেয়।’ তবে পায়েলকে নিয়ে হ্যাপির রেগে ওঠার অন্যতম কারণ একটি সেলফি।

পায়েলও সেলফির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন আসলে সব কিছুর কারণ সেই সেলফিটি। বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা ছিলেন ইশরাত পায়েল। সেখানেই রুবেল হোসেনসহ প্রায় সব ক্রিকেটারের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পায়েল। বাদ যায়নি রুবেল হোসেনও। পরে সেই ছবিটি রুবেল হোসেন তার ফেসবুকে পোস্ট করে তাতেই সৃষ্টি হয় নতুন বিতর্ক। পায়েল বলেন, ‘আমি আসলে সেদিন সব ক্রিকেটারের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলাম। কিন্তু সেটিতো সাধারণ একটি বিষয়। এখানে হ্যাপি কিভাবে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে সেটি সেই বলতে পারবে।’

তবে এতদিন পর পায়েলকে জড়িয়ে কেন হ্যাপি এমন স্ট্যাটাস দিলেন? পায়েল বলেন, ‘রুবেল হোসেনের ঘটনার পর থেকেই হ্যাপির হাতে তেমন কোন কাজ দেখছি না। আমার মনে হয় যখনই ও (হ্যাপি) আলোচনা থেকে চলে যায় তখনই এমন কিছু করে যেন মিডিয়াতে আলোচনা আসে।’ এ ছাড়াও রুবেল হোসেনের সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই বলে পায়েল নিশ্চিত করে বলেন, ‘দেখেন আমি আগে মাঠে খেলা দেখতে যেতাম। এমনকি পাকিস্তান সিরিজেও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখনই শুনেছি এমন সব কথা ওঠতে পারে আমি কিন্তু আর মাঠে খেলা দেখার ইচ্ছা থাকতেও যাই না।’