রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে আনান কমিশন
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে আনান কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল আজ শনিবার ঢাকায় এসেছে। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার গিয়ে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবে। এরপর ঢাকায় ফিরে এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আজ বলেন, রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশন, যা রাখাইন কমিশন নামেই ব্যাপকভাবে পরিচিত, তার তিন সদস্য উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে আজ বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন সন্ধ্যায় এবং অন্যজন দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান। সফরের শুরুতে আগামীকাল রোববার তাঁদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়ার আগে রাখাইন কমিশনের তিন সদস্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে বাংলাদেশ ঘুরে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে যা দেখেছেন ও শুনেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের দপ্তরে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবেন। এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে কফি আনান নিজেও মিয়ানমার সফর করেছেন। ফলে কমিশনের তিন সদস্যের বাংলাদেশ সফরের পর রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির কাজটি সহজ হবে রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশনের জন্য।
গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে সীমান্তচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করলে ডিসেম্বরে কফি আনান মিয়ানমার সফর করেন। তিনি রাখাইন রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ, সশস্ত্র বাহিনীপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লায়েং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সফর নিয়ে আনান কমিশনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের জনগণের কল্যাণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি গত বছর জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে ওই পরামর্শক কমিটি গঠন করেন। কফি আনান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মিয়ানমারের ছয় নাগরিক ও তিন বিদেশি বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত কমিশন এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুপারিশ জমা দেবে। রাখাইন রাজ্যের সব নাগরিকের মানবিক ও উন্নয়ন, নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপাদানগুলোকে নিয়ে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়ন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজার সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন