রোজায় স্বাস্থ্য: রোজায় যা খাবেন, যা খাবেন না
রোজা রেখে খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন না হলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন সহজেই। তাই খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। এ বছরের রোজার সময় বেশ দীর্ঘ। তাই সারা দিন শরীরে শক্তি জোগান দেওয়ার জন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার।
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার শরীরে অনেক সময় ধরে শক্তি জোগান দিতে পারে। তাই এ খাবারগুলো বেশি খাওয়া প্রয়োজন। গমের রুটি, বার্লি, ওটস, ময়দা, শস্যদানা, বাসমতি চালে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এগুলো খেতে পারেন।
আঁশসমৃদ্ধ খাবার ধীরে ধীরে বিপাক হয়। তাই এরাও বেশিক্ষণ ধরে শক্তি সরবরাহ করতে পারে। আঁশসমৃদ্ধ খাবার হলো শস্যদানা ও শস্যবীজ, শাকসবজি, ফলমূল, চামড়াসহ আলু ইত্যাদি।
রোজার সময় ভাজা-পোড়া খাবার না হলে যেন আমাদের চলেই না! তবে ভাজা-পোড়া খাবার না খাওয়াই ভালো। পাকোরা, সমুচা, বেগুনি, পেঁয়াজু এগুলো বাদ দিন। এ ধরনের খাবারগুলো বুক জ্বালার অন্যতম কারণ।
মিষ্টি, কেক, বিস্কুট, চকলেট, পেস্ট্রি, পরোটা, অন্যান্য চর্বি ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন ধরনের ফ্রাই খাওয়া বাদ দিন। ডিপফ্রিজে রাখা খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে পুডিং, রসমালাই খেতে পারেন।
চা, কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত কোলা খাওয়া থেকে বিরত হোন। এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে পানিস্বল্পতা করতে পারে।
সেহরির খাবারের মাধ্যমে আমরা সারা দিনের শক্তি পাই। তাই এ খাবার হতে হবে পুষ্টিকর। এ সময় আঁশ ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাবেন বেশি করে।
ইফতার হতে হবে হালকা। ইফতারি বলতে আমরা সচরাচর যা বোঝাই তা না খাওয়াই ভালো। খেজুর খুব দ্রুত শক্তি জোগায়। তাই খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করতে পানির পাশাপাশি ফলের জুস পান করুন বেশি করে। তবে সাবধান, দোকানের জুস খাবেন না। এগুলো মিষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইফতারির পর থেকে একটু একটু করে পানি পান করতে থাকুন।
প্রিয় রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইফতারিতে দুধ ও খেজুর খেয়েছেন, আর সেহরিতে রুটি, ওটস সঙ্গে ভেড়া বা ছাগলের মাংস। তাই বেশি খাবার না খেয়ে পরিমিত খেয়ে সুস্থ থেকে রোজা পালন করুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন