রোববারের কার্য তালিকায় নিজামীর রিভিউ আবেদন
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর সুপ্রিমকোর্টের আপিলের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য রোববারের কার্য তালিকায় রয়েছে।
আগামী রোববার (১০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করার জন্য তারিখ ধার্য করেছে। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বজলুর রহমান। রিভিউ পুনর্বিবেচনার শুনানির দিন ঠিক করার জন্য রোববারের কার্য তালিকার ১৯ নম্বরে রয়েছে আবেদনটি।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রোববার নিজামীর আইনজীবী এএসএম শাহজাহান ৬ সপ্তাহ সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজামীর রিভিউ শুনানির তারিখ ঠিক করার জন্য সময় আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২৯ মার্চ সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন করেন আইনজীবীরা। রিভিউতে ৭০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউ এর আবেদনের সঙ্গে মোট ২২৯ পৃষ্ঠার নথি পত্রে তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৬টি (গ্রাউন্ড) যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। রিভিউ আবেদনে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন।
রিভিউ শুনানি করবেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান। তাদেরকে সহযোগিতা করবেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও এহসান এ সিদ্দিকী। তার পরের দিন ৩০ মার্চ রিভিউ আবেদনটির দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিনই এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন মির্জা হোসেইন হায়দারের আদালত।
নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নিষ্পত্তির আগে তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। আর রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে যাবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামির ফাঁসি কার্যকর করবে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ নিজামীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আইন অনুযায়ী পরোয়ানা শোনার পর থেকে নিজামী আপিল বিভাগের চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের রিভিউ আবেদন করতে পারবেন ১৫ দিনের মধ্যে, যার শেষ দিন ছিল ৩০ মার্চ।
তাই নির্ধারিত ১৫ দিন সময় শেষ হওয়ার এক দিন আগেই নিজামীর রিভিউ আবেদন জমা দেন। এর মধ্যে মোট ৩ বার তার সঙ্গে দেখা করেছেন কাশিমপুর কারাগারে তার আত্মীয়স্বজন ও আইনজীবীরা।
গত ৬ জানুয়ারি বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও উস্কানিদাতাসহ মানবতাবিরোধী তিন অপরাধের দায়ে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিলে। ওই দিন সংক্ষিপ্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ১৫ মার্চ আপিল মামলাটির ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এর পর পরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে থাকা নিজামীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।
এর আগে বুদ্ধিজীবী নিধনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন