রোববার পে-স্কেলের গেজেট
বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে আগামী রোববার সরকারি চাকরিজীবীদের বহুল প্রত্যাশিত অষ্টম পে-স্কেল গেজেট হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেটিং শেষে পে-স্কেল অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমদের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার স্বাক্ষরের পর আবার আইন মন্ত্রণালয় হয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হবে। তবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রোববার নাগাদ গেজেট হতে পারে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন দয়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত মঙ্গলবার থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে গেজেট প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, আমি গত মঙ্গলবার থেকে গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। কেন যে দেরি হচ্ছে? তবে দু’একদিনের মধ্যে হয়ে যাবে আশা করি।
অষ্টম পে-স্কেল সরকারের কাছে পেশ হওয়ার পর তা বাস্তায়নে সব চেয়ে বেশি অর্থাৎ প্রায় দু’বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। একের পর এক নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে আর পে-স্কেল বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও পে-স্কেল বাস্তবায়নে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বেশ বিরক্তির সঙ্গে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক, এত সময় লাগছে। এ যাবত যতগুলো পে-স্কেল হয়েছে তারমধ্যে এবারই সবেচেয়ে বেশি সময় লাগলো। অত্যন্ত জটিল একটি পে-স্কেল। সব দিক সামলাতে গিয়ে এ সমস্যা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত পে-স্কেলের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অর্থমন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের পর সচিব কমিটি তা পর্যালোচনা করে বেশ কিছু বিষয়ে নতুন করে সুপারিশ করে। ওইসব সুপারিশ পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত বৈঠকে পর্যালোচনা হয়।
এরই মধ্যে বেতন কমিশন টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করলে এ নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে নতুন ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী চাকরিজীবীদের আশ্বস্ত করেন।
বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের দাবি থাকা স্বত্ত্বেও নতুন বেতন কাঠামোতে ‘টাইম স্কেল’ ও ‘সিলেকশন গ্রেড’ থাকছে না। তবে এর বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু থাকছে। এক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের বছর ভিত্তিক গ্রেড উন্নীতকরণ করা হবে। বছর ভিত্তিক গ্রেড উন্নীতকরণের সময়সীমা থাকবে ১০ ও ৬ বছর। কোনো সরকারি চাকরিজীবী ১০ বছর চাকরি করার পর ১১ বছর পর তার গ্রেড স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নীত হবে। এই গ্রেডের পর আরও ছয় বছর চাকরি করলে ১৭ বছরে এসে তার আরও একবার গ্রেড পরিবর্তন হবে। এক্ষেত্রে তার বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধাও বাড়বে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কমকর্তা জানান।
সূত্র জানায়, যেসব চাকরিজীবী সিলেকশন গ্রেড বা টাইমস্কেল পাওনা আছেন বা হবেন বেতন আদেশ জারি হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য সিলেকশন গ্রেড বা টাইমস্কেল বহাল রাখা হতে পারে। আর এতে অনেক চাকরিজীবী হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
আগামী ১ জানুয়ারী থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা বকেয়াসহ নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন। তবে নতুন বেতন কাঠামো পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
অষ্টম পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগে যেসব ক্যাডার সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়েছেন, তাদের এ সুবিধা বহাল রাখা হবে। এটা বাতিল করা হবে না। প্রজ্ঞাপন জারির আগে বাকি ক্যাডাররা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল নিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রজ্ঞাপন জারির পর সব কিছু নতুন নিয়মে চলবে।
চাকরি যে গ্রেডে শুরু হয় সেটা ঠিক থাকবে। এটা পরিবর্তন করা হবে না। বিশেষ প্রণোদনাও দেওয়া হবে না। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের কাজের এবং যোগ্যতার বিচারে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। যিনি যেখানে আছেন তিনি সেখানেই থাকবেন। কারো মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন