লজ্জা শুধু নারীর নয় উদ্ভিদের মধ্যেও আছে
মানুষের মধ্যে যেমন, তেমনি উদ্ভিদের মধ্যেও আছে লাজবন্তী, সে লজ্জায় কুঁকড়ে যায়, মুখ লুকোয়।
লজ্জা শুধু নারীর নয় পুরুষেরও ভূষণ। শুধু মানুষের নয়, উদ্ভিদের থেকে প্রাণী জগতের সবার মধ্যেও লজ্জা বিদ্যমান। লজ্জাবতী লতা ছাড়াও লজ্জাবত উদ্ভিদ আছে; সেটি বলদা গার্ডেনের দক্ষিণের অংশে পাবেন। সেখানে এখন সবার প্রবেশের অধিকার নেই, দর্শকের অত্যাচার ও অভব্যতার জন্য। পুরুষ লজ্জাবতের দেখা আমি সেখানে পেয়েছি, লিখেছিও। মাঝে মাঝে গিয়ে দেখেও আসি বিশেষ অনুমোদন লাভ করে। আবার লজ্জাবতী বানর-বানরিও আছে।
প্রথমে ছোট্ট ঝোপালো থাকে এই উদ্ভিদ। সুযোগ পেলে নিজেকে জ্যামিতিক হারে বাড়িয়ে তোলে। ছেলেবেলায় আমাদের ভিটেয় একে বিশেষ উদ্যোগে উচ্ছেদ করতে প্রয়াশ নিতে হত। একটু সুযোগ পেলেই লতিয়ে লতিয়ে বেড়ে চারদিক ছেয়ে ফেলত।
লতার প্রতি পর্বে শেকড় বেরিয়ে শুধু বেড়েই চলছে, বেড়েই চলা তার জৈবিক স্বভাব। কিন’… আহা, বাড়তে বাড়তে ঝাড় সৃষ্টি করলে কী তার দেমাগ, সৌন্দর্য, উল্লাস। ডালের প্রতি পর্বে গোল গোলাপী ফুলের ছোট্ট গোলক! কী তার বাহার, জাঁক, উচ্ছ্বাস। কিন’ ওর পাতা ছুঁয়ে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে দু’দিক থেকে দুটি পাতা এসে করজোড়।
আমি বসে বসে একটির পর একটিকে ছুঁয়ে যেতাম। যদি কোনোটি জড়ো না হয়, যদি তেমন এক জোড়া পাতা পেয়ে যাই! দৈবাৎ এমনটি যদি ঘটে যায়! যেতেও তো পারে! না, তা হয়নি আজও। এখনো সুযোগ পেলে সেই চেষ্টায় লেগে যাই আমি।
আপনারা বোকা বলছেন তো? বলুন। আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম চাষ দেখতে গিয়ে ওদের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লেগে যাই ওই খেলায়। দেখি, ওদের লজ্জা একটু কম। একটু দেরিতে ওরা করজোড় হয়। ওদের পর্বে পর্বে যে কাঁটা আছে সেগুলোও সমতলের লজ্জাবতীর চেয়ে নরম। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের লজ্জাবতী একই প্রজাতির হলেও আলাদা। কিন’ আমি জানি না তার বৈজ্ঞানিক নাম কি। ওই কাঁটার জন্য সাপ লজ্জাবতী ঝোপের কাছে ঘেঁষে না শুনেছি।
বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম থেকে হেমন্ত পর্যন্ত ফ্যাকাশে লাল ফুলের ছোট্ট বল উপহার দিয়ে যায়। পত্রদণ্ডে পঁচিশটি পালকের মতো সমান্তরাল পাতা থাকে। রাতের আগে পাতাগুলো যুক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সূর্য আসা পর্যন্ত। তেমনি খোলা পাতা স্পর্শ পেলে জোড়া লেগে যায়। এমনকি জোড়ালো আলো বা আগুনের উত্তাপ পেলেও। যেন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভয়ে ক্ষমা প্রার্থনা জানায়। আবার একটু পরে জোড়া খুলে যায়।
এর বৈজ্ঞানিক কারণ হলো ভেতরের রসবাহী নলের রস প্রবাহের তারতম্য। উষ্ণমণ্ডলীয় সারা বিশ্ব এর আবাস। টবে খুব ভালো জন্মে। জলাভূমির শুকনো শেওলার পচা গুঁড়ো, মাটি ও বালি সমান তিন ভাগ মিশিয়ে টবের মাটি তৈয়ার করা যায়। সারা বছর টবে লাগানো বা টব থেকে টবে স’ানান্তর করা যায়। নিয়মিত পানি দেওয়া যায়। ফুল দেওয়া শেষ হলে টব বদল করা ভালো।
রোদেলা বারান্দা ও জানালা এর পছন্দ। দিনে রোদ খাইয়ে বিকেল ও রাতে শয্যাগৃহের শোভা বাড়ানো যায়। টবের নিচে জলপূর্ণ জলকান্দা রাখা ভালো। আমি করে দেখেছি। প্রয়োজনে বাড়তি ডাল ছেঁটে দিন ভালোবাসার হাত দিয়ে। ফুলের প্রতি ভালোবাসা কোনো দিন বৃথা যাবার নয়। বোটানিক্যাল নাম মাইমোসা পুডিকা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন