লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে যে নিদের্শনা দিলো মাউশি
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৩ লাখ ৬,০৮৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এছাড়াও আরও দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা করেছে ভর্তি কমিটি।
এদিকে, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তির সব কার্যক্রম আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব স্কুলের প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রথম তালিকা যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এরপর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার মনোনীতদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে। সর্বশেষ তৃতীয় অপেক্ষমাণ তালিকায় মনোনীতদের ভর্তি শেষ করতে হবে ২ কর্মদিবসের মধ্যে।
মাউশি জানিয়েছে, লটারিতে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারিতে শিক্ষার্থীর নির্বাচিত হয়েছে কি-না, হলে প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ সেসব বিষয় যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবে।
ভর্তিতে যেসব কাগজপত্র যাচাই করতে হবে
ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময় এ কোটাগুলোতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।
এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এ শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গবেষণা: শৃঙ্খলাহীন ঘুম ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোক
কারও কারও ঘুমানোর সয়ম একেবারে বাঁধা। কেউ সে সবের ধারপাশবিস্তারিত পড়ুন
তারেক রহমান: জনসমর্থন থাকায় বিএনপি অনেকের হিংসার কারণ
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপি’র সঙ্গে রয়েছে দাবি করে দলটিরবিস্তারিত পড়ুন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: নরেন্দ্র মোদির ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন