লন্ডনে খালেদাকে যেমন দেখে এলেন খোকন
চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডন আছেন বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছেন তার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন লন্ডনে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। লন্ডন থেকে ফিরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ফোনে কথা বলেন ব্যারিস্টার খোকন।
আপনি তো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন গিয়েছিলেন। সেখানে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা কেমন দেখলেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন : লন্ডনে তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছিল। এছাড়াও পায়ের সমস্যা ডাক্তারকে দেখিয়েছেন। আবারো ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষায় আছেন তিনি।
বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে দল পুনর্গঠন বা দলকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রসঙ্গে আপনাকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি?
খোকন : এসব বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি।
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলের কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি?
খোকন : সবার সঙ্গেই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। তবে আমার সঙ্গে দলের কোনো বিষয়ে তিনিও কোনো কথা বলেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনের যে জায়গায় অবস্থান করছেন সেখানের পারিপার্শ্বিক অবস্থা কেমন মনে হয়েছে? সেখানে দলের কোনো নেতা বা কর্মীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠকে বসেছেন কিনা।
খোকন : কোনো বৈঠক হয়নি। নেত্রী সেকানে ডাক্তার দেখানোর কাজেই গিয়েছেন।
তৃণমূল নির্বাচনের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো দিক-নির্দেশনা পেয়েছেন কি?
খোকন : না। এ বিষয়টি নিয়েও কোনো দিক-নির্দেশনা বা কোনো কথা হয়নি।
যুক্তরাজ্যের একটি অনুষ্ঠানে ‘বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়েছে’ বলে আপনি মন্তব্য করছিলেন। বিএনপির এ দুর্বলতার কারণ কী হতে পারে বলে আপনার ধারণা?
খোকন : সেই অনুষ্ঠানে আমার দেয়া বক্তব্য পত্রিকা মিসকোড করেছে। আমি সেখানে বলেছিলাম, ‘বিএনপি মামলা-মোদ্দমায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে’। ‘বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়েছে’ এ কথা বলিনি। কারণ বিএনপি দুর্বল হবার কারণ নেই। বর্তমানে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করছে। বরং আওয়ামী লীগ এখন বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিএনপি দ্রুত ক্ষমতায় আসবে ইনশাল্লাহ।
খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন। মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?
খোকন : তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে তার সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসব মামলায় কোনো স্বার্থকতা নেই। মূলত, রাজনৈতিক চাপে রাখার জন্যই মামলাগুলো করা হয়েছে।
অতি সম্প্রতি রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
খোকন : তিনি নিজেই বলেছেন যে, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। স্বাস্থ্য ভালো হলে আবার ফিরে আসবেন। তিনি দলের একজন সিনিয়র নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। দলের জন্য তিনি অনেক শ্রম দিয়েছেন। দল তার কথা সবসময়ই স্মরণ করবে। যেহেতু তিনি অবসর নিয়েছেন, এখন দলের কমিটি তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
খালেদা জিয়া কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন?
খোকন : এটা তার ট্রিটমেন্টের ওপর নির্ভর করবে। ট্রিটমেন্ট শেষ হলে আশা করছি আগামী সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে
খোকন : ধন্যবাদ।
সূত্র: বাংলামেইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন