লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় দুই যুবতী গ্রেফতার
আমেরিকার লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশি আবুল কালাম রহীমকে (৬১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে রোজা ম্যানুয়েলা ব্যারিয়েন্টোস (২৩) এবং মারিয়া মিশেল ইনজুঞ্জা(২৫) নামে দুই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা দু’জনই স্প্যানিশ-আমেরিকান। এর আগে নিউইয়র্কে ইমাম আকঞ্জিসহ দুই মুসল্লি এবং নাজমা খানমকে হত্যার জন্যে গ্রেফতারকৃতরাও স্প্যানিশ। দু’বছর আগে নিউইয়র্কে খুন হওয়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজমুল হকের ঘাতক হিসেবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দু’জনও স্প্যানিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে এই দুই যুবতীকে গ্রেফতার করার পর ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উভয়কে লসএঞ্জেলস ক্রিমিনাল কোর্টে সোপর্দ করা হয়। তাদেরকে জামিনহীন আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। লসএঞ্জেলস পুলিশ এবং লসএঞ্জেলস ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় লসএঞ্জেলস সিটির নর্থ হলিউডের ‘এ্যা এ্যান্ড ডি লিকার’ স্টোরে কর্মরত অবস্থায় দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আবুল কালাম রহীম (৬১) মারা যান। স্টোরের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের পর ওই দুই যুবতীকে শনাক্ত করা হয় বলে মাননীয় আদালতকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। দোষ প্রমাণিত হলে উভয়ের মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী উল্লেখ করেছেন। যদিও, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধি রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় লসএঞ্জেলস সিটির সান ফার্ণান্দো ভেলীতে অবস্থিত একটি ‘সেভেন/ইলেভেন স্টোর’-এ দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাংলাদেশি ওয়াসি আহমেদ (৪৮)। তাকে হত্যার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তকেও পুলিশ পাকড়াও করেছে।
কালাম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ বলেছে, বেলাইয়ার এভিনিউর নিকটে শারমেন ওয়ের ওপর ১২৬০০ ব্লকে অবস্থিত ‘এ এ্যান্ড ডি লিকার মার্ট’- স্টোরের সিসিটিভিতে দেখা যায়, দুই যুবতী স্টোরে ঢুকে কিছু চাইছে, কিন্তু বাধা দিচ্ছেন বাংলাদেশি কালাম। সাথে সাথে তার বুকে গুলি লাগে এবং ঢাকার খিলগাঁয়ের সন্তান কালাম স্টোরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কালাম মারা যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কালাম গত ১৬ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছিলেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক কালামের একমাত্র ছেলে ও ছোট মেয়ে থাকেন লসএঞ্জেলসে। বাকি দুই মেয়ে বিবাহিত, তারা বাংলাদেশেই বসবাস করছেন। মাত্র ২ মাস আগে তিনি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন।অামেরিকা প্রবাসী হওয়ার পূর্বে তিনি জাপানে ছিলেন।
সুঠাম দেহাবয়ব ও আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারি আবুল কালাম রহীম একসময় বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করতেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুসারে তার মরদেহ বাংলাদেশে দাফন করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তরের পর ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইসলামিক সেন্টার মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার রাতে আমিরাত এয়ালাইন্সে তার লাশ ঢাকার উদ্দেশ্যে লসএঞ্জেলস থেকে প্রেরণ করা হবে বলে এ সংবাদদাতাকে জানান কম্যুনিটি লিডার মোমিনুল হক বাচ্চু।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন