‘লেডি কিলার’ পুলিশপুত্র অর্ণব আবারও গ্রেপ্তার
‘লেডি কিলার’ হিসেবে খ্যাত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে রাহমাতুর রাফসান অর্ণবকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিনাজপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ অর্ণবকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দিনাজপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূর্বের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাহমাতুর রাফসান অর্ণব সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার কর্ণমূর্তি গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে। জাহিদুল ইসলাম পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে কর্মরত আছেন।
এর আগে রাহমাতুর রাফসান অর্ণব দিনাজপুরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তার বিরুদ্ধে একাধিক তরুণী ও নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী ও নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নারীঘটিত অভিযোগ ছাড়াও মাদক কারবার, চাকরি দেওয়া ও বিদেশে লোক পাঠানোর নামে কয়েককোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক শিল্পপতির মেয়ে দিনাজপুরে গিয়ে অর্ণবের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দিনাজপুর কোতয়ালী পুলিশ। তরুণী অভিযোগে বলেন, পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন অর্ণব। বিয়ের কথা বলে অর্ণব তার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা, ৫০ ভরি সোনা ও দুটি প্রাইভেটকার হাতিয়ে নেন। অর্ণব তার কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি ২৭ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
এই মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূর আলম বলেন, ওই মামলায় তরুণীর করা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ রয়েছে এই থানায়।
একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটাতেন অর্ণব। তিনি পুলিশের ভ্যান ব্যবহার করে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এনে সারাদেশে ছড়িয়ে দেন। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তির মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা বলেছেন, যারা সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত। কেন এরকম বেপরোয়া চরিত্রের যুবকের ফাঁদে তারা পা দিয়েছেন জানতে চাইলে ভুক্তভোগী তরুণীরা জানান, অর্ণব যে কোনো মানুষকে পাঁচ মিনিটেই বশে আনতে পারেন। মেয়েদের আয়ত্বে আনার বিশেষ সক্ষমতা আছে তার।
তারা বলেন, স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাইলে অর্ণব তাদের ধর্ষণ করে। আবার কাউকে নেশা জাতীয় জুস, শরবত কিংবা কফি খাইয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে। সেই ভিডিও দেখিয়ে পরে বারবার ধর্ষণ এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগী অনেকে মেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘অর্ণবের বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। ভিকটিম যারা আইনি সহযোগিতার জন্য এসেছিলেন তাদের প্রতি শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রাখা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্যের ছেলে হলেও তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়নি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন