লেবানন তথা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি
হিজবুল্লাহর হাইফা শহরের নজরদারি ফুটেজ প্রকাশের পর লেবানন তথা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শিগগিরই একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে। এমনকি উত্তেজনা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাও এতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। খবর রয়টার্সের।
লেবাননের দক্ষিণে আন্তসীমান্ত গোলাগুলি বৃদ্ধির পর উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইনকে লেবাননে পাঠানো হয়েছিল। ড্রোন ফুটেজ প্রকাশের মাধ্যমে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা আক্রমণ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল হিজবুল্লাহ।
আট মাস ধরে গাজা যুদ্ধে সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে গুলিবিনিময় করছে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় গোষ্ঠীটির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সিনিয়র এক কমান্ডার নিহত হন। এরপর ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোতে সবচেয়ে বড় রকেট ও ড্রোন হামলা চালায় তারা, যা নভেম্বরে থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে কাটজ বলেছেন, ‘এই খেলায় হিজবুল্লাহ ও লেবাননের বিরুদ্ধে নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা।’
হাইফার বন্দরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার বিষয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লার দেওয়া হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেন কাটজ।ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে হিজবুল্লাহকে ধ্বংস এবং লেবাননকে নাস্তানাবুদ করা হবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পরে বলেছিল, ‘লেবাননে আক্রমণের জন্য অভিযানের পরিকল্পনায় অনুমোদন ও বৈধতা দেওয়া এবং যুদ্ধের ময়দানে সেনাদের ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল।’
কাটজ আরও বলেছেন, এর জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই ভারী মূল্য চুকাতে হতে পারে। তবে আমাদের দেশ ঐক্যবদ্ধ এবং এটি অবশ্যই উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করবে। এদিকে, হিজবুল্লাহ বলেছে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে হামলা বন্ধ করবে না তারা।
পরিস্থিতি ‘গুরুতর’ হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত হোচস্টেইনকে লেবাননে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার হোচস্টেইন বলেছিলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা উত্তেজনা বাড়তে দেখেছি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৃহত্তর যুদ্ধের আরও বৃদ্ধি এড়াতে চান।
মঙ্গলবার লেবাননের সেনাবাহিনী প্রধান ও পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে দেখা করেছিলেন হোচস্টেইন।
লেবানন সীমান্তের এই সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন