শরণার্থীদের জন্য আরো আশ্রয়স্থল নির্মাণ করবে ইউরোপ
ইউরোপে শরণার্থীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রাসেলস সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো ১৭ দফা পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে আরো বেশি আশ্রয়স্থল নির্মাণ, সীমান্তে নিবন্ধন ও নৌ অভিযান বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বলকান অঞ্চলের নেতারা এই ১৭ দফায় রাজি হয়েছেন। শরণার্থীরা তুরস্ক, গ্রিস ও পশ্চিম বলকান অঞ্চল দিয়ে জার্মানি ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ১১টি দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এক লাখ জায়গা তৈরি করা। আর গ্রিস থেকে জার্মানির রুটে এসব জায়গা তৈরি করতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা সহায়তা করবে।
যেসব লোক সীমান্ত পাড়ি দেওয়া চেষ্টা করছে, তাদের নিবন্ধন নিশ্চিত করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স।
কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাংকার বলেছেন, ‘আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করেছি, যে নীতির ফলে মানুষের স্রোত বাড়ছে, তা থামাতে হবে।’
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ‘ইউরোপকে দেখাতে হবে যে এটা মূল্যবোধের মহাদেশ, এটা একটি সংহতির মহাদেশ। এটা প্রাথমিক কাজ, আরো কাজ আমাদের বাকি আছে।’
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ বলেন, সম্মেলনের আগে এ ধরনের আলোচনা ছিল অসম্ভব।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিরো সেরার সতর্ক করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরণার্থী ঠেকাতে সত্যিকার পদক্ষেপ না নিতে পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে পড়বে।
বলকান অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, কসোভো, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী বলকান অঞ্চল দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। তারা সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন