শাকিব-অপুর নবম বিবাহবার্ষিকী আজ, বিয়ের সাক্ষীর বয়ানে জানা গেল যেভাবে বিয়ে হয় তাঁদের
গোপনে বিয়ে, এরপর কেটে গেল প্রায় ৯ বছর। অতঃপর একদিন আকস্মিক সন্তানসহ মিডিয়ার সামনে হাজির নায়িকা। জানালেন সবকিছু। মিডিয়ার সামনে এভাবে সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিতে না পারলেও পরবর্তীতে স্ত্রী-সন্তান দুজনকেই মেনে নেন নায়ক।
এতক্ষণ যাদের কথা বলছি তারা আর কেউ নন, ঢালিউড তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। আজ তাদের নবম বিবাহবার্ষিকী। তবে বিবাহবার্ষিকীতে একসাথে থাকতে পারছেন না তারা। পাবনায় রংবাজ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত শাকিব, আর অপু একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে ঢাকার বাসায়।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন।
সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ডিপজলের প্রযোজনায় কোটি টাকার কাবিন ছবি থেকেই শাকিব ও অপুর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর চাচ্চু ছবির শুটিং। ততদিনে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়ে উঠে। এর মধ্যে একদিন সিদ্ধান্ত হলো, অপু আর অভিনয় করবেন না। ভারতে গিয়ে পড়ালেখা শেষ করবেন। তারপর দুজনের বিয়ে হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপু ভারত চলে যান।
বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ করেই রাজ্জাকের পরিচালনায় একটি ছবিতে সম্রাটের বিপরীতে কাজ করতে দেশে আসেন অপু। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি শাকিব। তাকে না জানিয়ে ছবিতে কাজ করার কারণে অভিমান করে অপুর সঙ্গে কয়েকদিন কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি।
মামুনুজ্জামান মামুন বলেন, তাপসী ঠাকুরের ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবির শুটিং চলাকালে তাদের মান-অভিমান ভাঙে। ওই ছবির শুটিং চলা অবস্থায়ই শাকিব-অপু বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
তখন মিরপুর শাহ আলী মাজার রোডের একটি বাসায় থাকতেন অপু দিদি। হঠাৎ করেই একদিন শাকিব ভাই তাঁর কালো রঙের গাড়িতে করে আমাকে সেখানে নিয়ে গেলেন। সেখানেই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুজন বিষয়টি আমাকে জানালেন এবং কাজি ডাকতে বললেন। আমি শাকিব ভাইকে বললাম, বিয়ে তো অনেক বড় ব্যাপার, ভেবেচিন্তে কাজটি করেন। দিদিকেও একই কথা বললাম। কিন্তু দুজনেই সিদ্ধান্তে অটল। তাঁরা বললেন, ‘বিয়ের সংবাদ গোপন থাকবে। একসময় বড় অনুষ্ঠান করে সবাইকে জানাব আমরা।’
বিয়ের পুরো বিষয়টি তখন কেবল অপুর মেজ বোন লতা ও শাকিবের চাচাতো ভাই মনির জানতেন। যাই হোক, লতাও আমাকে বললেন, ‘তারা যখন চাইছে, তখন আপনি কাজি ডাকেন।’
আমি এর মধ্যে ফরিদপুরে শাকিব ভাইয়ের বাড়ির কাছ থেকে মজিবুর রহমান নামে এক কাজি সাহেবকে নিয়ে আসি। তাঁরা সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন ভেবে কাজি সাহেবকে ঢাকায় এনে দুই দিন গোপন করে রাখলাম! দেরি দেখে অপু আমাকে বললেন, ‘কাজি আনছেন না কেন? শাকিব কি আমাকে বিয়ে করতে চাইছে না?’ আবার শাকিব ভাইয়েরও একই জিজ্ঞাসা, ‘অপু কি আমাকে বিয়ে করতে চাইছে না?’
পরে বাধ্য হয়ে আমি তাঁদের বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। বিয়ের আগের দিন শাকিব ভাই অপু দিদির জন্য একটি হীরার সেট ও একটি লেহেঙ্গা কিনেছিলেন। শাকিব ভাই এখন যে বাসায় থাকেন, ওই বাসায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হলো। আসরের নামাজের ঠিক আগে আগে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো। আমি কাজি সাহেবকে নিয়ে গেলাম। এরই মধ্যে অপু দিদি ও তাঁর বোন লতা এসে হাজির হলেন। বিয়ের সময় আমি অপু দিদির উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় স্বাক্ষর করি। লতাও অপুর পক্ষে স্বাক্ষর করেন। আর শাকিব ভাইয়ের চাচাতো ভাই মনির স্বাক্ষর করেন তাঁর পক্ষে। বিয়ের দেনমোহরটা বড় অঙ্কেরই হয়েছিল। অঙ্কটা না হয় না-ই বললাম। তবে ওই সময় অপু দিদি বলেছিলেন, ‘দেনমোহর দিয়ে কী হবে, সংসারটাই বড়।’ বিয়ের ঘণ্টা দুয়েক পর অপু ও লতা তাঁদের বাড়িতে চলে যান।
ওই দিন রাতেই দুই পরিবারের লোকজন বিয়ের খবর জেনে যান। জানার পর শাকিব ও অপুর পরিবারের বাকি সদস্যরা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। শাকিব ভাই ও অপু দিদির বাবা-মা বিষয়টি মানতে চাননি। পরে আমি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁদের বুঝিয়েছি। এভাবে মাস তিনেক গেছে। পরে অপু দিদি শাকিব ভাইয়ের বাসায় আসা-যাওয়া শুরু করেন। এভাবেই দুই পরিবার মিলে যায়। এরপর থেকে শুটিং না থাকলে অপু সন্তানসম্ভবা হওয়ার আগ পর্যন্ত শাকিব ভাইয়ের বাড়িতে নিয়মিত থাকতেন। অন্যদিকে শাকিব ভাইও অপুর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন