শাকিব খান কি নাম্বার ওয়ান?
ঢাকাই চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম শাকিব খান। ব্যক্তিজীবনের ঘটনা, পরিচালক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ সব মিলিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন এই নায়ক। সম্প্রতি শাকিব খান গণমাধ্যমে দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের নাম্বার ওয়ান চিত্রনায়ক এবং সুপারস্টার।
পাঠক আসুন খোঁজে দেখা যাক শাকিব খান কি আসলেই সুপারস্টার? শাকিব কি আসলেই নাম্বার ওয়ান? শাকিব খান অভিনীত ছবি কতোটা ব্যবসাসফল? কিংবা কতোটা প্রশংসিত হচ্ছে এই অভিনেতার ছবিগুলো?
যদিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বক্স অফিস বলতে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই। তাই কোন ছবির বাজেট কত এবং কত আয় করেছে তা সঠিকভাবে বলা যায় না। ২০১৬ সালে ঢালিউডে মুক্তি পেয়েছে ৫৭টির মতো চলচ্চিত্র। এর মধ্যে সেরা পাঁচটি ছবির মধ্যে দুটি রয়েছে শাকিব খান অভিনীত। এ ছাড়া গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শীর্ষ নায়কের আসনটি দখল করে আছেন শাকিব। এবারের ঈদেও মুক্তির মিছিলে থাকা আটটি ছবির মধ্যে পাঁচটি শাকিব অভিনীত।
গত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬ সালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘আয়নাবজি’। সবচেয়ে প্রশংসিত ছবি ‘অজ্ঞাতনামা’। আবার কোনো কোনো সিনেমা সমালোচক মনে করেন, ‘চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে হলে ধারাবাহিকভাবে সফল ছবি উপহার দিতে হয়। ‘আয়নাবাজি’ ব্যবসা সফল হলেও এ ধরনের ছবিগুলো মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবসায়িকভাবে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে খুব বেশি ভূমিকা রাখে না। এদিক দিয়ে এফডিসি ঘরানার ছবিগুলোর ব্যবসায়িক সাফল্যের ওপরই নির্ভর করে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সাফল্য। ফলে গত কয়েক বছর ধরে শাকিব খান অভিনীত ছবিগুলো সাফল্যে ব্যবসায়িকভাবে চাঙা হয়েছে সিনেমাপাড়া।
২০১৬ সালের ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘শিকারি’। এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘বাদশা : দ্য ডন’। এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার নায়ক জিৎ এবং বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত ‘বসগিরি’। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও নবাগত নায়িকা শবনম বুবলি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের সফল পাঁচটি ছবির মধ্যে শাকিব খান অভিনীত ছবি রয়েছে দুটি। এর আগের কয়েক বছর ধরেই রয়েছে শাকিব খানের এই ধারাবাহিকতা। কোনো কোনো বছর শাকিব খান এককভাবে উপহার দিয়েছেন সফল ছবি। অনন্ত জলিলের বিগ বাজেটের ছবির চাইতেও বেশি দর্শক টানতে পেরেছেন শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র।
২০১৫ সালে শাকিব অভিনীত পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ছবিগুলো হলো—‘এই তো প্রেম’, ‘দুই পৃথিবী’, ‘লাভ ম্যারেজ’, ‘আরও ভালবাসবো তোমায়’ এবং ‘রাজা বাবু’। এর মধ্যে ‘রাজা বাবু’ এবং ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবি দুটি পেয়েছে ব্যবসায়িক সাফল্য।
সব মিলিয়ে সিনেমার বাণিজ্যে শাকিব খান যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা পরিষ্কার। কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্রের ভিন্ন ধারা তৈরির ক্ষেত্রে শাকিব খানের সিনেমাগুলো কতোটা ভূমিকা রাখতে পেরেছে সেটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন