শাকিরাকে যেভাবে পটিয়েছিলেন পিকে
প্রথমেই একটা সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ। আপনি যদি বিলিয়নিয়ার ফুটবলার না হন, যে কিনা দেখতেও মন্দ নয়—তাহলে পিকে যে কথাটি শাকিরাকে বলেছিলেন, সেটি আপনার প্রেয়সীর মন গলানোর ক্ষেত্রে কাজে না-ও লাগতে পারে।
সম্ভবত ‘পিক-আপ লাইনে’র ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে নীরস বাক্য। কিন্তু সে যা-ই হোক, পিকের ক্ষেত্রে এটিই বেশ ভালো কাজে দিয়েছে। শাকিরার মন জেতার কাজটা তিনি শুরু করেছেন তিনি খুব সাধারণ একটি কথা বলে—‘এখানে আবহাওয়া কেমন?’
বর্তমান সময়ের সম্ভবত সবচেয়ে গ্ল্যামারাস জুটি পিকে-শাকিরা। বার্সেলোনা ও স্পেনের ডিফেন্ডার যেমন অনেক জনপ্রিয়, কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরারও ভক্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তা দুজনের দেখা হয়েছিল কীভাবে? মন দেওয়া-নেওয়ার কাজটিও কোন সংগোপনে হয়েছিল, প্রথম কে কাকে কী বলেছিলেন, সেটি নিয়েও মানুষের আগ্রহ কম নয়। রহস্যটা এবার নিজেই ফাঁস করলেন পিকে।
সময়টা ২০১০ বিশ্বকাপের ঠিক আগে। শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানটি তখন বিশ্বকাপ জ্বরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েক গুণ। গানটির ভিডিওতে অন্য অনেক ফুটবলারের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন পিকেও। পরিচয়ও সেই সূত্রে। তবে এরপর ব্যাপারটা প্রণয়ে গড়াল কীভাবে, দুজনের প্রথম ‘ডেট’ কখন—টিভিথ্রিকে সেটিই বলেছেন পিকে, ‘শাকিরার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল মাদ্রিদে, যখন আমরা ২০১০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এটা হয়েছিল ওয়াকা ওয়াকার ভিডিওতে অংশ নেওয়ার পর।’
তবে প্রথম দেখার জন্য শাকিরাকে রাজি করাতে যা বলেছিলেন, তা নিয়ে ভাবলে এখন আনমনেই হেসে ওঠার কথা পিকের, ‘ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল যখন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলাম। আমিই ওকে লিখেছিলাম। ও আগে থেকেই সেখানে ছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওর গান-নাচ ছিল। আর আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওখানকার আবহাওয়া কেমন!’
পছন্দের মানুষটিকে ‘পটানো’র জন্য প্রথম বাক্য হিসেবে সবচেয়ে সুন্দর হয়তো নয়। তবে ওই যে, ‘যা হওয়ার, সেটি তো হবেই!’ শাকিরার মনে সেটিই যেন অনেক নাড়া দিয়ে গেল। পিকেই বললেন, ‘এটা খুবই নির্বোধের মতো প্রশ্ন ছিল এবং এর স্বাভাবিক উত্তর হতো, ও হয়তো আমাকে জ্যাকেট নিয়ে আসতে বলতে পারত। কিন্তু ও আমাকে প্রতিটি মুহূর্তে আবহাওয়া কেমন হয়, সেটি বলতে লাগল। পরে কথাবার্তা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেল, যখন আমি ওকে বললাম, শুধু ওকে আবার দেখার জন্যই আমাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠতে হবে।’ কেন? পিকের ভাষ্য, ‘ওর যে ফাইনালেও গান গাওয়ার কথা ছিল!’
২০১০ সালের ১১ জুলাই তারিখটি তো তাহলে কখনোই ভোলার কথা নয় পিকের। তিনি ও তাঁর দল কথা রেখেছেন। ফাইনালে উঠেছেন, শেষ মুহূর্তে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার গোলে হল্যান্ডকে হারিয়ে দেশকে প্রথম বিশ্বকাপও এনে দিয়েছেন। আর বিশ্বকাপ মেডেলের বাইরে পিকের ব্যক্তিগত অর্জন? শাকিরা! গান শুনেছেন, প্রণয় দিনে দিনে আরও গভীরে হয়েছে। ছয় বছরের সম্পর্কটায় এখন আলো হয়ে এসেছেন দুই সন্তান মিলান ও শাশা। সূত্র: গোলডটকম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন