শাকিলের মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা


একসপ্তাহ পার হলেও এখনও জানা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুর রহস্য। ডাক্তার ও পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন ভিসেরা রিপোর্ট হাতে আসলেই কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে। মাহবুবুল হক শাকিল গত ৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে ঢাকার গুলশানের সামদাদো হোটেলে মারা তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হলেও তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে রেস্তোরাঁর কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।
মারা যাওয়ার পর রাতেই গুলশানের হোটেল সামদাদোর ম্যানেজারসহ ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়েও দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কী বেরিয়ে এসেছে পুলিশও সেই ব্যাপারে এখনও মুখ খুলছে না। যতই দিন যাচ্ছে রহস্যের জট ততই বাড়ছে।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের ডা. সোহেল মাহমুদসহ তিন সদস্যের টিম প্রাথমিক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে বলেছিলেন, তার হার্ট স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে একটু বড়। তাছাড়া তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শরীরে অন্য কোনো বিষাক্ত পদার্থ আছে কিনা তা জানতে পূর্ণাঙ্গ ভিসেরা রিপোর্টের জন্য কিছু আলামত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভিসেরা রিপোর্ট কখন পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ভিসেরা রিপোর্টের জন্য সেম্পল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। রিপোর্ট হাতে আসলে অবশ্যই আসল কারণ জানা যাবে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কাছ থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
শাকিলের মৃত্যুর বিষয়ে দায়ের করা জিডির তদন্ত কমর্কর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সালাউদ্দীন জানান, এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তিনি রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে আসল ঘটনা।
মাহবুবুল হক শাকিলের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে। তার পৈতৃক নিবাস ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও আনন্দমোহন কলেজে পড়াশোনার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নেন শাকিল। প্রথমে সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি হন তিনি। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন শাকিল। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান। চার বছর পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) করা হয়। ২০১৪ সাল থেকে অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন


নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













