শাহরুখ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী এবার বিরাট কোহলি!
শাহরুখ খানদের কাজ সিনেমায়। সেটা তাদের ভূবন। শচীন টেন্ডুলকারের কাজ ছিল ক্রিকেট খেলা। যেটা এখনো এমএস ধোনি-বিরাট কোহলিদের পেশা। কিন্তু টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, কোহলি, ধোনিরা নিয়মিত চ্যালেঞ্জ দিয়ে যান শাহরুখ-সালমান খানদের। সেটা স্ক্রিনেই।
যেটি মূল কাজ না ক্রিকেটারদের। বলা হচ্ছে ভারতের টেলিভিশন কমার্শিয়ালের কথা। এনডোর্সমেন্ট ও বিজ্ঞাপনের বিচারে অনেক বলিউড সুপারস্টারের চেয়ে চাহিদা বেশি ভারতের ক্রিকেটারদের। তাদের কাটতিও খুব বেশি। তাতে পেশাদার অভিনেতারা তো আক্ষরিক অর্থেই পেশাদার ক্রিকেটার-অপেশাদার অভিনেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েন।
এই সময়ে যেমন ধোনি-কোহলির বিজ্ঞাপন বাজার খুব বড়। এখনো টেন্ডুলকারের চাহিদা শেষ হয়ে যায়নি। ব্যস্ত ক্রিকেট শিডিউলের মাঝেও ধোনি-কোহলিরা দেশটির শীর্ষ ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নিয়ে টেলিভিশনে হাজির হন। বিরাট অংকের টাকায় প্রিন্ট ও ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজেদের ইমেজ বিক্রি করে ভিন্ন উচ্চতায় উঠে যান।
এখন বড় ক্রিকেট তারকাদের যারা টানতে পারেন না তারা অপেক্ষাকৃত ছোট তারকাকেই বেছে নেন। কিন্তু এক সময় এমনটা ছিল না। তখন টেন্ডুলকারের মতো বড় তারকাই ছিলেন ভারতের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে কমার্শিয়ালে মুকুটহীন সম্রাট। এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের বিজ্ঞাপন বাজার থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা আয়ের রেকর্ড ছিল টেন্ডুলকারের। পরের ধোনি সেই জায়গাটা নেন। এখন ধীরে ধীরে কোহলি এগিয়ে আসছেন। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠিত বলিউড অভিনেতাদের।
শাহরুখ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী এবার বিরাট কোহলি!
টেন্ডুলকারের কমার্শিয়ালের মাত্রাও ছিল একেবারে ভিন্ন। ঈশ্বরসুলভ ইমেজে প্রডাক্টকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেছেন। পর্দায় বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানদের সাথে। শাহরুখের সাথে তার তো সিকুয়ালও তৈরি হয়েছিল।
ভারতের নতুন যুগের সফল অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীও কম যাননি। ভারতীয় টেলিভিশনে লম্বা সময় ধরে রাজত্ব করা একটি মুখ ছিলেন তিনি। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যদূত হিসেবেও এই ক্রিকেটারদের ওপর বিনিয়োগ করেছেন শত কোটি টাকা।
ভারতীয় বিজ্ঞাপন ইতিহাসে সৌরভ, টেন্ডুলকার, ধোনিরা অবিস্মরণীয় অনেক কমার্শিয়ালের জন্ম দিয়েছেন। রিলে রেসের মতো ব্যাটন হাত বদলেছে। ধোনি-কোহলি যুগ চলছে এখন।
শাহরুখ খান ভারতের কমার্শিয়াল জগতেরও বাদশাহ। কিং খান টেন্ডুলকারের মতো সেজে ৯০ এর শেষ দিক থেকে নানা কাণ্ড করে দেখিয়েছেন টেলিভিশনের পর্দায়। যেখানে টেন্ডুলকারও তার অভিনয় প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে আরেক স্মরণীয় বিজ্ঞাপনের জন্ম দেন টেন্ডুলকার। যাতে কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তখনকার অধিনায়ক কার্ল হুপারের সাথে তার বিজ্ঞাপনের কথা এখনো মানুষ মনে রেখেছে।
সৌরভ গাঙ্গুলী ২০০৬-০৭ এর দিকে নতুন করে বিজ্ঞাপন বাজারে ফিরে মাত করেছিলেন। জাতীয় দলে তার অবস্থান, কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে ঝামেলা, নানা বিষয়ে তুমুল আলোচনায় থাকার প্রভাব বিজ্ঞাপনেও পড়েছিল। ড্রিংকসের কমার্শিয়ালে বাজারটাকে নতুন পথ দেখিয়েছিলেন সৌরভ। এখন তাদের উত্তরসূরীরা সেই বাজারটাকে আরো সামনে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন