শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ে খালি জমি দখল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। রেল কর্তৃপক্ষ নিরব
শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার খালি জমি দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। ওই সব রেলওয়ের খালি জমি দখল করে গড়ে তোলেছে দোকান ঘর ও বিভিন্ন সংগঠন। দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে প্রতি মাসে এক শ্রেণীর লোকেরা। হবিগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান শায়েস্তাগঞ্জ থানা। শায়েস্তাগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম রেলপথ। জেলার মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি সর্ব বৃহৎ জংশন।
বৃটিশ আমলে এই জংশনটি নির্মাণ হলে ২০০৪ সালে রি-মডেলিং প্লাট ফরম নির্মাণ করা হয় প্লাট ফরমটি। প্লাটফর্মের সামনে রয়েছে বিশাল পার্কিং এরিয়া। রেলওয়ে জংশনের প্লাট ফরমের খালি জায়গা বর্তমানে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্লাট ফরমের পূর্ব ও পশ্চিমপাশে ছিল বিশাল খালি যায়গা । কিন্তু দিন দিন ওই খালি জায়গাটি দখল হয়ে গেছে। দখলকৃত জায়গাটি ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন স্থানীয় কিছু লোক। যা রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তাদের সহযোগীতায়। দখল থেকে বাদ যায়নি রেলওয়ে পরিত্যাক্ত কোয়াটারগুলিও। বিট্রিশ আমলে নির্মিত ওইসব কোয়াটার গুলি এখন অনেকটাই জ্বরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ।
এই সুযোগে কোয়াটারগুলি দখল করে ভাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দখল হয়ে যাওয়া কোয়াটারগুলিতে থাকতে পারছে না রেলওয়ে কর্মকর্তারা। সরজমিনে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন ঘুড়ে দেখা গেছে পূর্ব দিকে রেলওয়ের গুদাম ঘরের খালি মাঠটি দখল করে শায়েস্তাগঞ্জ মটর মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ নামে একটি টিন সেট ঘর নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে। একসময় এই গুদাম মাঠ রেলওয়ের মাল লোড-আনলোড হতো। কিন্তু দখলদারদের কারণে সেই জায়গাটির চিত্র বদলে যায়। এখন আর মাল উঠা-নামা হয় না এই মাঠে। গুদাম মাঠটিতে গাড়ী পার্কিং ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দখল হয়ে গেছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানায় আজ থেকে ১০ বছর আগে ছেলেরা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলত এই মাঠে। এদিকে দখলকৃত দোকান ও পরিত্যাক্ত কোয়াটারগুলিতে রেলওয়ের বিদ্যুত ব্যবহার হচ্ছে চোরাইভাবে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের এক বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের বিদ্যুত অবৈধভাবে লাইন দিচ্ছে বিভিন্ন দোকান ও আশে পাশে এলাকায় বাসা বাড়িতে ।
একটি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫শ অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ রয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এতে করে ওইসব অবৈধ বিদ্যুত সসংযোগের কারণে রেলকতৃপক্ষকে মাসের পর মাসে দিতে দ্বি-গুণ বিদ্যুত বিল। রেলওয়ে পার্কিং এর সামনে পূর্ব দিকে খালি দখল করে বসানো হয়েছে চায়ের দোকান ও সিএনজি ষ্টেন্ড। পার্কিং এর পশ্চিম পাশে রয়েছে মাইক্রোবাস শ্রমিকের ষ্টেন্ড। ওইসব অবৈধ ষ্টেন্ড এর কারণে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীরা গাড়ী নিয়ে এসে ঢুকতে পারছে না। পাকিং এর সামনে নেমে মালপত্র নিয়ে হেটে গিয়ে গাড়ীতে উঠতে হয় যাত্রীদের। এতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। এ বিষয়ে রেলওয়ে আইডব্লিউ নূরুল আমিনের সাতে ফোনে আলাপকালে রেলওয়ে খালি জায়গা দখল হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু দিনের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে। একটি সূত্রে জানায়, রেলওয়ে পুলিশ ওই সব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন