ঝালকাঠিতে পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যার দিকে জেলা শহরের সিটিপার্ক রোডের সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেন ছাত্রলীগ নেতা সুমন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সুমনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুর রকিব জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক লিমন নকিব, সুমন, স্টেশন রোডের মনির, অজ্ঞাত দুই জন নারী এবং তিন পুরুষ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাঞ্চন আলী খানের বাসায় ঢুকে পিস্তল ও চাকু দেখিয়ে তাকে উলঙ্গ করে ছবি তোলে।

এসময় শিক্ষকের কাছ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসেন। পরে তারা ওই শিক্ষকের কাছে আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তরিকুজ্জামান লিমন নকিব এবং মো. সুমনসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামি করে রবিবার ওই শিক্ষক পর্নোগ্রাফি আইনে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

পরে মুজিবুর রহমান নকিবের ছেলে লিমন নকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সেকেন্দার আলীর ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন শহরের মসজিদ বাড়ি সড়ক থেকে দৌড় দিয়ে সিটিপার্কের পাশ থেকে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রলারে খোঁজাখুঁজি করছেন। খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।