ছাত্রটির বাবা তাঁকে খাতা পেন দিতে এলে, শিক্ষকদের না জানিয়েই ওই ছাত্র স্কুলের গেটে এসে তাঁর জিনিসগুলো নেয়। অভিযোগ, এই অপরাধে ছাত্রটিকে বেধড়ক মারধর করেন স্কুলের শিক্ষকরা। ওই ছাত্র অসু্স্থ হয়ে পড়লে স্কুল কর্তৃপক্ষই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শিক্ষকদের না জানিয়েই আবাসিক স্কুলের গেটে এসে বাবার থেকে খাতা, পেন নিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ১ ছাত্র। এই অপরাধে শিক্ষকের নির্মম মারে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ১৪ বছরের শামিম মল্লিককে গত ২২শে জানুয়ারি তাঁর বাবা-মা স্থানীয় একটি আবাসিক স্কুলে ভর্তি করে। রবিবার ছুটি কাটিয়ে সোমবার সকালে স্কুলে ফিরে গিয়েছিল শামিম। কিছুক্ষণ পরে ছাত্রটির বাবা তাঁকে খাতা পেন দিতে এলে, শিক্ষকদের না জানিয়েই ওই ছাত্র স্কুলের গেটে এসে তাঁর জিনিসগুলো নেয়। অভিযোগ, এই অপরাধে ছাত্রটিকে বেধড়ক মারধর করেন স্কুলের শিক্ষকরা।

ওই ছাত্র অসু্স্থ হয়ে পড়লে স্কুল কর্তৃপক্ষই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রের বাবাকে ফোন করে ছাত্রটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার খবর দেন। যদিও, ছাত্রের বাবা-মা হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ফরাক্কা-হলদিয়া বাদশাহী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

মৃতের বাবা জুলাস মল্লিকের অভিযোগ, হানিফ শেখ নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কিন্তু স্কুল তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

মৃত ছাত্রের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক হানিফ শেখ ও স্কুলের মালিক লিটন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
https://youtu.be/ftquRK2bWlA