শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য খারাপ ফলের কারণ : বিএনপি
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের কারণে নয়, বরং শিক্ষা খাতের চরম নৈরাজ্যই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করার প্রধান কারণ বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির মতে, এই সরকারের সময়ে অন্য সব সেক্টরের মতো শিক্ষা খাতেও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে। এর প্রভাবে শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে খুব ভালো করতে পারেনি।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। রোববার ২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর মোট ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। গড় পাসের হার ৬৯.৬০। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। গত বছরের চেয়ে এ বছর পাসের হার কমেছে।
ফলাফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপির আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার কারণে পাসের হার কমেছে। তা না হলে পাসের হার বাড়ত। এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র রিপন বলেন, ‘এই ঠুনকো যুক্তি দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করার কারণ নেই। সন্তানের অভিভাবকরা বিষয়টি জানেন।’
রিপন অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা পাঠদানে মনোযোগী ছিলেন না, সরকার সেই পরিবেশ রক্ষা করতে পারেনি। বিভিন্ন কলেজে ভর্তি-বাণিজ্যের নামে সন্ত্রাস এবং ছাত্রলীগের চাপ ছিল। একই সঙ্গে দলীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে।
ফলাফল খারাপ করার জন্য রাজনীতি অন্যতম একটি ফ্যাক্টর হতে পারে, কিন্তু একমাত্র ফ্যাক্টর নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘রাজনীতি যদি ফ্যাক্টর হয়, তবে সরকারের বিরোধী দলের দাবি সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করা উচিত ছিল, যেন শিক্ষার্থীদের সমস্যা না হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রয়োজনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারত।’
সম্প্রতি দেশের স্কুলগুলোতে কেবিনেট নির্বাচনকে সাধুবাদ জানিয়ে রিপন বলেন, একইভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই গণতান্ত্রিক চর্চার ব্যবস্থা করা উচিত। সে জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ডাকসু, রাকসু, জগসু, চকসুসহ অন্য ছাত্রসংসদগুলোর নির্বাচন হওয়া উচিত। এতে মেধাবী রাজনীতিকরা উঠে আসবে।
সরকারের এই নির্বাচনের দিকে মনোযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) স্কুল কেবিনেট পর্যন্ত নির্বাচন দেবে। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করবে না। কারণ যদি এইসব নির্বাচন হয়, তাহলে স্বৈরাচার ও অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করবে। সেটি যাতে না করতে পারে সে জন্য ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিচ্ছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন