শিগগিরই চালু হবে বন্ধ থাকা সীমান্ত সড়কগুলো
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত লাগোয়া যে সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যায় সেই সড়কগুলো খুব শিগগিরই চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গত পরশুই এই সড়কগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ থাকা সীমান্ত সড়কগুলো পুনরায় খুলে দিতে চাই। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, সংস্কৃতি এবং যোগাযোগ ক্রসবর্ডার (আন্তরাষ্ট্রীয়) সমস্যা সমাধানে সহজ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ কারণেই বর্তমান সরকার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যেসব সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেসব শিগগিরই চালু করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপালের মধ্যে শিগগিরই সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। এই সড়ক প্রতিবেশী এই চারদেশের মধ্যে নানা সমস্যা নিরসনে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই নাট্যোৎসব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, এখন থেকে প্রতি দুই বছর পরপর এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হবে। এরপর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই এই উৎসবের আয়োজন করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান সরকারের চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইল নয়, এর বাইরে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষে আন্তর্জাতিক এ নাট্যোৎসবে আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ চট্টোপধ্যায়। বক্তব্যে তিনি বলেন, সংস্কৃতির সঙ্গে মাটির সম্পর্ক না থাকলে সংস্কৃতি বিকশিত হয় না। বাংলাদেশের সংস্কৃতির বেশিরভাগটা আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, কিন্তু এই নাট্যোৎসবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে না এসে সংস্কৃতি এসেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। আরো বক্তব্য রাখেন- সম্প্রীতি নাট্যোৎসব পর্ষদের উপদেষ্টা রামেন্দু মজুমদার।
গত ১৯ নভেম্বর এই উৎসব শুরু হয়। প্রতিদিন একসঙ্গে তিনটি মঞ্চে নাটক প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি নৃত্যও প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নাট্যদলগুলো এতে অংশ নেয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন