শিনা বোরাকে খুন করার এটাই ছিল ইন্দ্রাণীর কাছে আসল কারণ?
২০১২ সালে খুন হওয়া শিনা বোরা হত্যা মামলায় সোমবার আদালতে সওয়াল-জবাব শুরু করেছে সিবিআই। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জীর বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে জানান হয়েছে, শিনা সম্পত্তিতে ভাগ বসাবেন, এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, শিনার মা ইন্দ্রাণী ভেবেছিলেন, রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক থাকলে সে মুখার্জী বাড়ির পুত্রবধূ হয়ে আসবে। ফলে তাঁকে সম্পত্তির ভাগ দিতে হবে। আর সেই হিংসা থেকেই ইন্দ্রাণী শিনাকে খুন করেন।
সিবিআই তার অভিযোগে জানিয়েছে, শিনাকে ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল অপহরণ করে খুন করেন ইন্দ্রাণী। সঙ্গী ছিলেন ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাই। এই ষড়যন্ত্রে সরাসরি জড়িত ছিলেন ইন্দ্রাণীর বর্তমান স্বামী পিটার মুখার্জী। শিনার লাশ পরের দিন ২৫ এপ্রিল রায়গড়ে রাস্তায় পাশের জঙ্গলে ফেলে আসা হয়। এই ঘটনায় শ্যাম রাই রাজসাক্ষী হয়েছে বলেও আদালতে ফের একবার জানিয়েছে সিবিআই।
সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে শ্যাম রাইয়ের বয়ানের কপিও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতে সওয়ালের সময়ে জানানো হয়েছে যে, যেহেতু শিনা ও রাহুলের মধ্যে সম্পর্ক ছিল, তাই ইন্দ্রাণী সম্পত্তি বেহাত হওয়ার ভয় করেছিলেন।
এছাড়া শিনাকে যতটা ঘৃণা করতেন ইন্দ্রাণী, ঠিক ততটাই ভালোবাসতেন সঞ্জীবের সঙ্গে হওয়া তাঁর আর এক মেয়ে বিধিকে। এদিকে পিটার মুখার্জী সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি পুরো পরিকল্পনার কথা আগে থেকে জানতেন। ইন্দ্রাণী তাঁকে সমস্ত ঘটনা আগে থেকে জানিয়ে রেখেছিলেন। মোবাইল কল রেকর্ড থেকেও এটা পরিষ্কার যে ইন্দ্রাণীর এই খুনি চক্রান্তে পিটার প্রথম থেকেই শামিল ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন