শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সেতুমন্ত্রী
মুখের অবয়বটা অন্য সাধারণ দশটা শিশুর মতো নয়। পুরো মুখ জুড়েই একটি মাংসপিণ্ড এমনভাবে বড় হয়েছে তাতে শিশুটির নাক ও গালের কোন অস্তিত্বই বোঝা যাচ্ছে না। মুখ আছে কিনা সেটিও বোঝার উপায় নেই। দুটি চোখের একটি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অপর চোখটি ওই মাংসপিণ্ডের গর্তে যেন ঢুকে রয়েছে।
এই শিশুটির চিকিৎসা নিয়ে পরিবার যখন দুশ্চিন্তায় তখন
শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণা দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শিশুটির নাম চিংরু ম্রো। মাত্র ১১ মাস বয়স। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। শনিবার (২৮ মে) সকালে ঢামেক হাসপাতালে এ শিশুটিকে দেখতে এসে তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি। অবশ্য এ শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির পেছনেও রয়েছে সেতুমন্ত্রীর সহযোগিতা।
বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রোর ফেসবুক পেইজে এ শিশুটির একটি ছবি আপ করা হয়। সেখান থেকে মন্ত্রীর এক বন্ধু (মন্ত্রী তার বন্ধুর নাম প্রকাশ করতে চাননি) শিশুটির ছবি শেয়ার করেন এবং তা মন্ত্রীর নজরে পড়ে। তখন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির বিষয়ে খোঁজ নেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। মন্ত্রীর ওই বন্ধুটি ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে মন্ত্রীর আগ্রহের বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিশুটির মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শুক্রবার তারা বান্দরবান থেকে ঢাকায় আসেন। শনিবার (২৮ মে) সকালে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড পাস্টিক সার্জারি ইউনিটে শিশুটিকে ভর্তি করেন।
শিশুটির বাবার নাম সিংরাও ম্রো। মায়ের নাম পাইংপাও ম্রো। ৩ সন্তানের মধ্যে এ কন্যা সন্তানটি সবার ছোট। তাদের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। পাহাড়ে জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।
জন্মের পর থেকেই শিশুটির মুখে বড় ধরনের মাংসপিণ্ড ছিল। ধীরে ধীরে তা আকৃতিতে বড় হয়েছে। এখন পুরো মুখটাই ওই মাংসপিণ্ডে ঢেকে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি এক ধরনের টিউমার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সরানো সম্ভব।
বান্দরবানের ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো জানান, ‘২০-২২ দিন আগে লোক মারফত ওই শিশুটির অসুস্থ হওয়ার সংবাদ পান। পরে তিনি ফেসবুকে বিষয়টি দেন।’
শনিবার সকাল ১০টায় ঢামেক হাসপাতালে শিশুটি দেখার পর সেতুমন্ত্রী বলেন, থানচি আমার খুবই পছন্দের জায়গা। ফেসবুকে এক বন্ধুর মাধ্যমেই এ শিশুটির খবর জানতে পেরেছি। শিশুটির চিকিৎসা এখানেই (ঢামেক হাসপাতাল) চলবে। যদি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্যা হয় তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ শিশুর চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব আমি নিয়েছি।’
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্তলাল সেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও নিওরো সার্জারির চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার বিষয়টি দেখবেন। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা একেবারে বিরল নয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজেই তার চিকিৎসা সম্ভব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন