শিশুদের অ্যাজমার কারণ প্যারাসিটামল
যেসব শিশুদের প্যারাসিটামল খেতে দেয়া হয় তাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশের অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, গর্ভাবস্থায় কোনো মা যদি প্যারাসিটামল গ্রহণ করেন তার অনাগত সন্তানেরও ভবিষ্যতে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে শিশুদের অধিকাংশ সময় প্যারাসিটামল খেতে দেয়া হয়। ক্যালপল, ডিসপ্রল এবং কম মাত্রার ব্যথানাশক ট্যাবলেটে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়।
ব্রিস্টল ও নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল এক লাখ ১৪ হাজার ৫০০ গর্ভবতী নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেন এবং সাত বৎসর পর্যন্ত শিশুদের পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষকরা বলেন, গর্ভবতী নারী এবং শৈশবে যেসব শিশুরা প্যারাসিটামল গ্রহণ করেছে সেসব শিশুদের ক্ষেত্রে তিন বৎসর পর্যন্ত অ্যাজমা বৃদ্ধি পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা নিবন্ধটি আন্তর্জাতিক জার্নাল এপিডিমিলজিতে প্রকাশিত হয়। প্যারাসিটামল গ্রহণের কারণে অ্যাজমা হয় এই ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণাটি চালানো হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ধারণা, প্যারাসিটামল ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ বৃদ্ধি করে। যাতে পরিবর্তনশীল অণু থাকে এবং ফ্রি রেডিক্যালস হিসেবে পরিচিত। অ্যালার্জি তৈরির জন্য এই উপাদানটি দায়ী।
গবেষকরা বলেন, যেসব শিশুদের শৈশবে প্যারাসিটামল খেতে দেয়া হয় তাদের তিন বৎসর পর্যন্ত অ্যাজমা আক্রান্তের হার ২৯ শতাংশ। আর সাত বৎসর পর্যন্ত শিশুদের এর হার একই। গর্ভবতী নারী যারা প্যারাসিটামল গ্রহণ করেছিলেন তাদের শিশুদের তিন বৎসর পর্যন্ত অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা হার ১৩ শতাংশ, সাত বৎসর শিশুদের ক্ষেত্রে এই হার দ্বিগুণের বেশি অর্থাৎ ২৭ শতাংশ।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা: মারিয়া ম্যাগনাস বলেন, জনস্বাস্থ্যে প্যারাসিটামলের সম্ভাব্য বিরুপ প্রভাব না জানার কারণেই গর্ভবতী নারী ও শিশুদের ব্যথানাশক ট্যাবলেট হিসেবে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন